×

পুরনো খবর

আদাবরে চেয়ে টাকা নেয় না পুলিশ

Icon

ইমরান রহমান

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০১৮, ০১:৪৮ পিএম

আদাবরে চেয়ে টাকা নেয় না পুলিশ
মানুষ আইনি সেবা নিতে থানায় যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এক সময় থানায় গেলেই কারণে-অকারণে চাওয়া হতো টাকা। বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো কিছু কিছু থানায় সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। তবে সেটা সরাসরি নয়, কৌশলে। আদাবর থানা পুলিশের কৌশলটা এরকম কারো কাছে টাকা চাওয়া হয় না। কিন্তু কেউ টাকা দিলে না করে না তারা। এভাবেই থানায় অভ্যাগতদের কাছ থেকে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিচ্ছে আদাবর থানা পুলিশ। গত ৪ জুন সরেজমিন অনুসন্ধানে এবং কয়েকজন সেবাগ্রহীতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। থানায় জিডি করতে আসা রাসেল নামে এক ব্যক্তি জানান, আগেতো থানায় জিডি করতে এলে পুলিশ টাকা চেয়ে নিত। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। কারো কাছে টাকা চাওয়া হয় না। তবে, কেউ খুশি হয়ে কিছু দিলে না করে না পুলিশ। আপনি দিয়েছেন? জানতে চাইলে বলেন, আমার কাছে কোনো টাকা চাওয়া হয়নি। তবে, আগে যেহেতু টাকা দিতাম তাই এবার ইফতার করার কথা বলে ১০০ টাকা দিয়ে এসেছি। টোকিও গার্ডেনের এক দোকান মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই পর্যন্ত ৩ বার জিডি করলাম। আগে জিডি প্রতি ৩০০ টাকা নিলেও এখন আর টাকা চায় না পুলিশ। তবুও খুশি মনে ২০০ টাকা দিয়েছি। এভাবেই টাকা নেয়ার রীতি চালু রয়েছে থানাটিতে। অভিযোগ দুটি পাওয়ার পর খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ডিউটি অফিসারের রুমে দায়িত্ব পালন করছেন এসআই সোহেল, এএসআই মোস্তফা ও আজাদ। তারা টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এদিকে, একটি ভাড়া বাসায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে আদাবর থানার কার্যক্রম। থানার সামনে অর্ধেক রাস্তা দখল করে থানার গাড়ি ও বিভিন্ন মামলায় জব্দকৃত গাড়ি রাখা হয়েছে। থানায় নেই কোনো শিশু ও নারী ডেস্ক। সারাদিনে থানায় কোনো মহিলা অফিসার দেখা যায়নি। রয়েছে আবাসিক সমস্যা। নূরে সিদ্দিক নামে এক কনস্টেবল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা সারাদিন এতো কষ্ট করি অথচ রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারি না। জায়গা সংকটের কারণে প্রতিদিনই কোণ ঠাসা হয়ে ঘুমাতে হয়। থানায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহেরও ব্যবস্থা নেই। ফলে কষ্ট করে বাইরে থেকে পানি এনে খেতে হয় আমাদের। থানার কর্মকর্তারা জানান, সুনিবিড় হাউজিং, পাম্প এলাকা, শ্যামলী হাউজিং, জাপান গার্ডেন সিটি, প্রবাল হাউজিং, দক্ষিণ আদাবর, আলিফ হাউজিং, ঢাকা হাউজিং, মোহনপুর, শেখেরটেক, বাইতুল আমান হাউজিং এলাকা নিয়ে থানাটি গঠিত। এ থানায় ১ জন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ (ওসি), ২ জন ইন্সপেক্টর, ২১ জন এসআই, ২৯ জন এএসআই ও ৪৫ জন কনস্টেবল রয়েছেন। হাউজিং এলাকা হওয়ায় এই থানায় মারামারি সংশ্লিষ্ট মামলা বেশি হয়। পাশাপাশি মাদক মামলাও উল্লেখযোগ্য। আদাবর থানার ওসি এস এম কাউসার আহম্মেদ ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যাÑ নিজস্ব কোনো ভবন নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলায় জব্দকৃত আলামত রাখারও জায়গা নেই। তবে, থানার জন্য আলাদা জায়গা খোঁজা হচ্ছে। ভবন হলে এ সমস্যাগুলো থাকবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App