×

মুক্তচিন্তা

চলতি মুখোশ ও ছিন্ন আলাপচারিতা

Icon

মুক্তচিন্তা কলাম লেখক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৮, ০৯:৩২ পিএম

প্রশ্নসংকুলতা তৈরি হয়- আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের জায়গাটি দেখলে। মাঝেমধ্যে ভাবি শিক্ষার ‘অপ্রকাশের ভারে’ই ব্যক্তির সবকিছু ন্যুব্জ হয়ে আছে! প্রাণরস নেই যেন কোথাও কিছুতেই। সময়সাপেক্ষ চিত্রে মূলধারা উঠে আসতে বাধ্য। কিন্তু ক্ষয় হয় অনেক, অপেক্ষার প্রহর অনেক বেশি।

আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করছি। বাংলাদেশ- বাঙালিত্ব অবিভাজ্য। দীর্ঘায়ত ইতিহাসে ঋদ্ধ আমাদের বাঙালি জাতিসত্তা। বাঙালির উৎসব ঐতিহ্য এবং তার পূর্ণাঙ্গ প্রাণশক্তি মাতা, মাতৃভাষা ও মাতৃভ‚মিকেন্দ্রিক। সে জন্য আমাদের বাঙালিয়ানা প্রচণ্ড উৎসাহ-উদ্দীপনামুখর ভাবব্যঞ্জনার তীব্রতায় প্রকাশ্য রঙিন। হাজার বছরের রচিত সাহিত্যে উল্লিখিত প্রাণনার সংবাদ এতে আছে। প্রাসঙ্গিক এ সংবাদে মধ্যযুগের সময়সীমায় সাংস্কৃতিক তাৎপর্য একভাবে উচ্চারিত আবার আধুনিক কালপরিসরে তার প্রবহমান প্রসার অন্য রকমের। এ কারণে বলব, চলমান সময় ও সমাজ পরিবর্তনের ধারা এবং সঙ্গে রাষ্ট্র যোগ মানুষের শ্রেণিস্তরের। যেখানে আইন, শাসন ও বিচার তাৎপর্য পরিবেষ্টিত ব্যক্তিমানুষের সঙ্গে- যার প্রভাবে বৈষম্য, শাসন, ক্ষমতা বা প্রতিপত্তি- যা কখনো আচ্ছন্ন, কখনো বা দোর্দণ্ডতায় মূর্ত, আবার কখনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট বুর্জোয়া প্রকৃতির ধাঁচে রূপায়িত। রাষ্ট্র-রাজনীতিসাপেক্ষে এগুলো তৈরি হয়েছে আধুনিক সময়ে এবং আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদের প্রসারে। প্রসঙ্গত সাম্রাজ্যবাদ এখনকার সময়ে বিলুপ্ত হলেও তার আগ্রাসন অন্য প্রণোদনায়- বিশেষত একমুখী বিশ্বে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা ইরাকের পর্যুদস্ত পরিকাঠামোর বৃত্তান্তে উল্লেখ করার মতো। এক সময়ে লেনিনগ্রাদ বেঁচে থাকলেও তার নিপতিত বিশ্বের প্রতি অনাস্থা স্বীকার্য। সুতরাং রুশ বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিশেষত স্টালিন-ক্রুশ্চেভ আধিপত্যের বিশ্বেও মানবতার লঙ্ঘন অনাহূত- তবে মনোপোলার বা গ্লোবাল ভিলেজের নৃশংস প্রকৃতি-প্রণোদনা তারা তাড়িয়েছিল- তাড়াতে পেরেছিল। আবার ফিরে যাই আগের কথায়, আধুনিক সময়ে রাষ্ট্র-রাজনীতির সঙ্গে ব্যক্তি মানুষের জড়ান প্রসঙ্গে। ব্রিটিশ আধিপত্যবাদ বিষয়ে আধুনিকতার যাত্রা আমাদের সংস্কৃতিতে ইতিবাচক-বৃহত্তর অর্থে। এ প্রসঙ্গে স্বীকৃতি আছে রামমোহন রায় বা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের। মানতে দ্বিধা নেই ইতিহাসের অনিবার্যতার সংস্কৃতির বিচ্ছুরিত ধারা উচ্ছ্বাসময়তায় প্রবাহিত; ইয়ং বেঙ্গল, ডিরোজিও প্রভৃতি সাপেক্ষে ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি ও সাহিত্যে। চিরন্তন অধ্যাত্ম সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রায়োগিক ও প্রগতির বার্তা আনেন চর্চিত ধর্মের ভেতরে বা বাইরে; রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ উদাহরণ; আর সমাজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, অক্ষয় কুমার দত্ত। এমন মানুষদের স্পর্শে গ্রহণীয় ও আদরনীয় বিবেচনা-অবিবেচনা প্রসঙ্গ বা রবীন্দ্রনাথের ‘বড় ইংরেজে’র কৃতকর্মপ্রয়াস। আধুনিকতার আগে সামন্ত সমাজে বিচ্ছুরিত সংস্কৃতি এবং ব্যক্তি ও শাসন পরিকাঠামোর সম্পর্ক সরল বা স্থবির অধ্যাত্মদোষে দুষ্ট। গড়ে ওঠেনি যথোচিত সংস্কৃতির পাদপীঠ- যদিও সমাজ ও উৎপাদন আবিষ্ট মানুষ স্পষ্টরূপে পরিচয় মেলে- কিন্তু কারণ সে অর্থে তা ছিল আহারাদি ও আশ্বাসপ্রসূত। জীবনবাদের প্রতিষ্ঠা প্রচলিতের মধ্যেই বন্দি- আর ছিল না ঐতিহাসিক অনিবার্যতা। কিন্তু পরে রামমোহনের সমাজে তৈরি হলো রূপান্তরিত সংস্কৃতি, বহন করল ঐতিহ্যাদৃষ্ট সংস্কৃতি। যেমনটা আগে বলেছি : চলন একমতো- ঊনবিংশ শতাব্দীতে পরে বিংশ শতাব্দী; ‘বণিকের রাজদণ্ড’ ছাড়ার পর আজকের বাংলাদেশ। গোড়াতেই যে প্রাণনার উৎস প্রসঙ্গে উচ্চারণ হয়েছে মাতৃভাষা- বায়ান্ন, অভ‚তপূর্ব সাফল্য- যে সংস্কৃতি আমাদের বলে দিয়েছিল একাত্তরের যুদ্ধের কথা- বৈষম্যহীন রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক পুনরুত্থান প্রসঙ্গের কথা। আমরা জিতে যাই, পৌঁছে যাই সীমানায়, পেয়ে যাই আমার পতাকা ও কাক্সিক্ষত দেশ। ২. এই ইতিহাস কিংবা তার প্রত্যয়ে প্রতিনিয়ত প্রজন্মান্তরকে সামনে পাঠানোর ঠিকানা- আমাদের উচ্চারণ ও কারণ মুক্তিযুদ্ধ। মরণজয়ী ও শিহরণ কাঁপানো- তারপর কেন যেন চলে আসে বিভাজ্য-বিভাজন আর ওই জীবনানন্দের শকুন- শেয়ালতুল্য অন্ধদের প্রলয়োল্লাস। বাংলাদেশও বুঝি পাল্টে যায়। ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক হত্যা হয় এদেশীয়দের হাতে- সৃষ্টি হয় বিপথগামী শক্তি আর তাদের অবলম্বনে উঠে আসে বায়ান্ন, ঊনসত্তর আর রবীন্দ্রনাথের পরশ্রীকাতর অভিমুখী শত্রুরা। ইসলামের বৃত্তে ও ব্যবসায় ঢুকে পড়ে জাতি-উৎসবের বিপরীতমুখী দুর্বৃত্তরা। আমাদের সংস্কৃতি যে উৎসবে একাত্তরে প্রতিষ্ঠা পায়, যে নিগড় থেকে মুক্তি পেয়ে উল্লসিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে তা আবার অনিশ্চিত যাত্রায় পড়ে- শঙ্কায় পড়ে বললে বলতে হয় মৃত্যুর মুখে পতিত আর রাজনৈতিক বিনাসের আচ্ছন্নতায় রাষ্ট্র আবদ্ধ হয় দুর্বৃত্তায়নের বেড়াজালে। রাষ্ট্রের চালক ধর্মভিত্তিক-আমলাতান্ত্রিক-প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিচ্ছবিতে মাঠ দখল করতে থাকে। নিরন্তর যেন নিঃস্বতর হয় বাংলাদেশ; নীরবে কাঁদতে থাকে সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতান্ত্রিক আদর্শ। আর সবচেয়ে বড় প্রকোপে পড়ে সংস্কৃতি। ফলত চোখে পড়ে ওই পূর্বোক্ত প্রতিক্রিয়াশীল ধারা যা জাতিত্ব ও বঙ্গীয় সংস্কৃতিবিরোধী তা সোল্লাসে পুনরুজ্জীবিত প্রতিষ্ঠা; তার জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শক্তির প্রয়োগ- মিডিয়ায়, কর্মকাণ্ডে আর সে কারণে সদ্য শিশুরাষ্ট্রের জন্ম নেয়া প্রজন্ম প্রারম্ভিক পাঠ্য থেকে শুরু করে প্রতি স্তরে বিশ^াসের সঙ্গে যে সুরের ঐকতান পায় তা সংশয়ের, অন্ধ মূল্যবোধের, সূ² আর্থ-রাজনীতি সম্পৃক্ত দুর্বৃত্তায়ন প্রক্রিয়ার- সেখানে ক্রমশ স্বাভাবিক প্রত্যয়গুলো বিলীন হতে থাকে। বিলীয়মান এ পটভ‚মে উঠে আসে বেগানা সংস্কৃতি-স্বদেশ আর ভুঁইফোড় অন্তর্কাঠামোয় চাকচিক্যময় জলুসপূর্ণ বহিরাবরণ। আধুনিকতার নামে, ধর্মের নামে, যুগ বদলের হাওয়ায়, প্রচেষ্টার নামে- এসব চলতে থাকে। বেড়ে ওঠা প্রজন্ম তখন সুপুষ্ট হওয়ার পরিবর্তে উপর্যুক্ত চাকচিক্যের নামে সংশয়ের পরিচয়কে ধারণ করে। পরিচয়হীন পরিচয় ছড়িয়ে পড়ে প্রজন্মে-প্রজন্মান্তরে। সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার বদলে বৈষম্যযোগ্য পরিবেশ তৈরি, ধর্মের নামে অপধর্ম, পুঁজিকে কেন্দ্র করে ব্যবসা, নারীকে পণ্য বানানো, সমষ্টির স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ এ সব ওই পরিচয়হীনতার জায়গা থেকে চলছে প্রভূত পরিমাণে। আটের দশক জুড়ে চলতে থাকে ক্রমপরিসরে ব্যক্তিমানসস্তরের পরিবর্তন।

আলোচিত এ বিষয়গুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিশ্ব পরিস্থিতির উল্লম্ফিত সংস্কৃতি ও রাজনীতির প্রকোপ। খুব আগ্রাসী হয়ে পড়ে শক্তিসম্পন্ন রাষ্ট্রগুলো এবং ছোট ও দরিদ্র রাষ্ট্রেও ঘটে তার রহাধংরড়হ। তথ্যপ্রবাহে প্রয়োজন-অপ্রয়োজন, দরিদ্র-অদরিদ্র, শিক্ষা-অশিক্ষা না মেনে স্বদেশের তৈরি রাষ্ট্রপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে উল্লাসী-উচ্চকিত ‘সবকিছু’। ‘সবকিছু’ আমাদের রাষ্ট্রে হজমপ্রক্রিয়ায় না থাকুক তবুও বন্ধ থাকে না। আমরা পড়ে যাই অতলে- কিন্তু ওই প্রাণনা রক্তে, বাঙালিত্বের মধ্যে তাই সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াই- শক্ত ও ঋজু পায়ে দাঁড়ানো চলে, ফলে রক্ষা এবং টিকে থাকা। বিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির উল্লাস সৃষ্টি করে আধিপত্য। আধিপত্যবাদ প্রয়োগ ও প্রতিষ্ঠা পায়। কিন্তু প্রশ্ন, এগুনোর পথ কোথায়? কীভাবে আমাদের নিজস্বতার ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ঘটবে। আধিপত্যের যুগে স্বাতন্ত্র্য প্রকাশের সুযোগ কোথায়? সম্প্রচারের মধ্যে অন্যের অনুকরণের বদলে নিজেদের ভ‚-সংলগ্ন সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা কীভাবে ঘটবে? সাম্প্রতিকতা যতই প্রবল হোক আধুনিকতার মাত্রিকতা নানামুখী হবে না কেন? ইত্যাকার এসব প্রশ্নই আমাদের প্রতিবন্ধকতা। এবং হারায়ে খুঁজে ফেরার চেতনাই- আমাদের সচেতনতা ও সমাজ বাস্তবতার নির্মাণ প্রয়াস। আর প্রয়াসী হতে চাওয়াটাও কি প্রশ্ন নয়?

আজকাল অবাধ তথ্যপ্রবাহে অনেক কিছু দেখি- প্রশ্নসংকুলতা তৈরি হয়- আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের জায়গাটি দেখলে। মাঝেমধ্যে ভাবি শিক্ষার ‘অপ্রকাশের ভারে’ই ব্যক্তির সবকিছু ন্যুব্জ হয়ে আছে! প্রাণরস নেই যেন কোথাও কিছুতেই। সময়সাপেক্ষ চিত্রে মূলধারা উঠে আসতে বাধ্য। কিন্তু ক্ষয় হয় অনেক, অপেক্ষার প্রহর অনেক বেশি। তথ্যপ্রবাহ প্রসঙ্গে যা বলতে শুরু করেছি, গত ক’বছরে মিডিয়া আমাদের মননচর্চা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্রীভূত করেছে, ঊর্ধ্বশ্বাসে চালিত করেছে নিজেদের স্টাবলিশমেন্ট, সুনাম ও প্রতিষ্ঠার পেছনে। অনেক অনুকরণে সবকিছুই গোচরে-অগোচরে পণ্য হিসেবে গণ্য বলা চলে। বাংলাদেশের নারীরা মিডিয়ায় কাজ করছে- এগুচ্ছে সামনে কিন্তু অপ্রচ্ছন্নরূপে নিজেদের উপস্থাপিত করছে পণ্যের মতো- কখনো তারা প্রতিষ্ঠাকে বিক্রি করছে, কখনো শরীরসর্বস্ব রূপকে বিক্রি করছে এক সময় এ উদ্ভাসন (হোক তা রুচি বা অরুচিকর) তাকে সহজপথে অন্য অনুষ্ঠানে জায়গা করে দিচ্ছে। একই অঙ্গভঙ্গি, নড়ন-চড়নে যখন তফাৎ নেই- তখন যেমনটা হয় তাই করা চলে।

এক সময় পৌঁছে যাচ্ছে লক্ষ্যে (?), আসলে তাই কি লক্ষ্য! প্রতিটি চ্যানেলের অধিকাংশ কর্মসূচিই এভাবে প্রতিপালিত। প্রকৃত মানুষ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ, শ্রেণিস্তরের মানুষ- তাদের পরিচয়, সংকট, অন্তরের সমস্যা, সাংস্কৃতিক পরিচয় পাওয়া যায় না। রচনাকারের জীবনদর্শন নেই, নেই কোনো মেসেজ- ক্ষুদ্র ও ধৈর্যহারা পরিশ্রমে যা হয় তাই সম্বল। চটজলদি শীর্ষে ওঠা প্রতিপত্তি ও প্রতিষ্ঠা- এটা এখন নৈমিত্তিক প্রবৃত্তি। সে কারণে আমরা বিচ্ছিন্ন, একাকী, সমষ্টির স্বার্থে উত্তীর্ণ নই। লজ্জা, শ্লাঘা, নির্বাসনে নিজের ও নিজেকেই; ভালোবাসার স্বাদকেই নিরন্তর রপ্তানি করে যাচ্ছি। এ পর্যায়ে দায়বদ্ধ কলাকুশলী, রচনাকার নেই- লুপ্তপ্রায়ই মনে হয়। কারণ কি, সে প্রশ্নগুলো এখানে আগেই এসেছে। রাষ্ট্র যখন সর্বজ্ঞ-স্বভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তখন প্রত্যেক ক্ষেত্রে আঘাত আসে; আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার প্রথম জায়গা সংস্কৃতির বিনাশ ও লঙ্ঘন। ফলে কমিটমেন্টের ক্ষেত্রটি হয়ে যায় দুর্বল- আর তখনই স্বেচ্ছাচারিতা, স্বার্থান্ধতা, উচ্চাকাক্সক্ষী হওয়ার ব্যাপারগুলো তীব্র হয়ে ওঠে। ক্ষেত্রবিশেষে তাতে করে যুক্তির প্রতিউত্তর হয় আধুনিকতার অংশবিশেষ বা বুদ্ধির যোগ্যতা। কেউবা বলেন ভাগ্যবান মানুষ বা সমকালীন অনিবার্যতা। এরূপেই আমাদের গ্রহণ-বর্জনগুলো চলতে থকে। কিন্তু এমনটাই তো কাজের স্বীকৃতি নয়! তবুও মুক্তিযুদ্ধের পর দীর্ঘ সময় ও ত্যাগে অনেক পথ ও প্রতিক‚লতা অতিক্রম করতে হয়েছে। বিনষ্ট বা প্রতিক‚লতায় পথ হারালেও আমরা কম পাইনি; সে শক্তি ও স্বপ্ন দেখার সময়টা অন্তরে ছিল। হয়তো তা একটা সময়েরও প্রতিশ্রুতি। এ প্রতিশ্রতিটা তারা আত্মস্থ করতে পেরেছিল, অনেক মেধা ও অভিজ্ঞতায় তারা ছুঁতে পেরেছিলেন মানব মহিমার কৌত‚হলকর জগৎকে। তাদের প্রতিশ্রুতি রচিত হয়েছিল দেশ ও জাতির জন্য। সে প্রতিশ্রুতি এখন আরো অগ্রগামী এই বর্তমান প্রজন্মের স্বপ্ন প্রজ্বলিত মশালে।

শহীদ ইকবাল : অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App