×

মুক্তচিন্তা

চলমান বাস্তবতা সম্পর্কে বিক্ষিপ্ত ভাবনা

Icon

মুক্তচিন্তা কলাম লেখক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০১৮, ০৮:৫৮ পিএম

বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি চাকরিতে চলমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন চলছিল, সরকার অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সেটি থামাতে পেরেছে। এতে সরকারের শক্তির ও কৃতিত্বের পরিচয় আছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান কী করা হবে? অন্য সব সমস্যারও পর্যায়ক্রমিক সমাধান সরকারের কাছে প্রত্যাশিত। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আইন-আদালত, জেলখানা, ফাঁসিকাষ্ঠ, বন্দুকযুদ্ধ আর বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন তত্ত¡ নিয়ে সমস্যার সমাধান অল্পই করা যাবে। সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে নতুন স্বাধীন, আন্তরিক চিন্তাভাবনা ও নতুন কর্মধারা দরকার।

নবযুগের প্রত্যাশায়

যুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভের পর, প্রথম কয়েক বছর, বাংলাদেশ ছিল ঋণ-রিলিফনির্ভর। বিভিন্ন আন্তঃরাষ্ট্রিক সংস্থা ও বৃহৎ শক্তিবর্গ তখন বাংলাদেশকে ক্রমাগত প্রচুর সাহায্য দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনোক্রমেই সাহায্য নির্ভরতা কমাতে পারছিল না। সরকারি লোকদের এবং সরকারি দলের বিরুদ্ধে তখন অত্যন্ত প্রবল অভিযোগ ছিল লুটপাটের। নতুন রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মওলানা ভাসানী, জাসদ, বামপন্থি দলগুলো, বুদ্ধিজীবীদের অধিকাংশ তখন লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত প্রবলভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে চলছিলেন। সরকার সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা তখন পরিচিত হয়েছিলেন গণবিরোধী বলে। তখনই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, Bangladesh is a bottomless basket কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশকে যতই সাহায্য দেয়া হোক, সাধারণ মানুষদের কাছে- দুর্গত মানুষদের কাছে সেগুলো পৌঁছায় না- লুটেরারা লুটেপুটে নিয়ে নেয়। বছর তিনেক পরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব বলেছিলেন, চাটার দলের জন্য ভালো কিছুই করা যায় না, দেশে সাহায্য হিসেবে এত কম্বল এসেছে, সবারই কম্বল পাওয়ার কথা, আমিও তো একটা কম্বল পেতে পারতাম, পাইনি, চাটার দলে সব নিয়ে নিয়েছে।

কয়েক বছর পরে অর্থনৈতিক অবস্থা মন্থরগতিতে উন্নত হতে থাকে। ১৯৮০-র দশকে কৃষির উন্নতি, পোশাক শিল্পের আয়, বিদেশে গিয়ে শ্রমিকদের আয়, শেষে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সৈন্য পাঠিয়ে আয় ইত্যাদির ফলে অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ ভালো হতে থাকে। পরবর্তী বছরগুলোতেও চরম রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যেও অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা অব্যাহত থাকে। বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘ যেভাবে উন্নয়ন ও সম্পদ হিসাব করে তাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্পদ ক্রমেই বাড়ছে। উপজেলা সদর থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত একটু ঘুরে দেখলে, কিছু তথ্য সংগ্রহ করে দেখলে বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না যে বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সম্পদ বৃদ্ধি ঘটে চলছে। সরকার ও সরকারি দলের লোকেরা উন্নয়নের বিপুল প্রচার দিয়ে চলছেন যা আগে কোনো সরকার করেনি। তবে সবটাই কেবল বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ করেছেন, এ কথা কতখানি ঠিক তা অনুসন্ধান করে দেখা দরকার। সে রকম অনুসন্ধিৎসা অল্পই খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ইতিহাসের চর্চা নেই। এখানে জনমত গঠিত হয় প্রচারকার্যের দ্বারা- বিচার-বিবেচনা কমই কাজ করে। তা ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ সহজে হুজুগে মাতে। হীন স্বার্থান্বেষী লোকেরা স্বার্থ হাসিলের জন্য নানা কৌশলে জনসাধারণকে হুজুগে মাতিয়ে স্বার্থ হাসিল করে নেয়। গণজাগরণ আর হুজুগ এক নয়। গণজাগরণে জনসাধারণের মধ্যকার মহৎ মানবিক গুণাবলি জাগ্রত ও সক্রিয় হয়, মহান উদ্দেশ্য থাকে, মহান নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। হুজুগে এ সব থাকে না। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের সময়ে বাংলা ভাষার দেশে এবং গোটা ভারতবর্ষে গণজাগরণ দেখা দিয়েছিল ঢাকা কেন্দ্রিক জাতীয় সংস্কৃতিতে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত একটানা সেই গণজাগরণ চলমান ছিল ১৯৮০-র দশকে সেই গণজাগরণ শেষ হয়ে যায়।

গণজাগরণের কালে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটানো হয়েছে, জমিদারি ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গত প্রায় অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশ কি রাষ্ট্র রূপে গড়ে উঠেছে? গণতন্ত্রের নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মন্ত্রিপরিষদ পর্যন্ত দেখা দিয়েছে বংশানুক্রমিক নেতৃত্ব ও পরিবারতন্ত্র, রাজনীতি হয়ে পড়েছে বৃহৎ শক্তিবর্গের স্থানীয় দূতাবাসমুখী- যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্দিষ্ট ডেস্ক-অভিমুখী। গণতন্ত্রের ধারাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনে। বাংলাদেশে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করার সামর্থ্যও রাখে না। উন্নয়ন পরিমাপ করা হয় মাথাপিছু গড় আয়, মোট জাতীয় আয় কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কথিত হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট দিয়ে। তাতে নাগরিক বিবেচনা, অপরাধের হ্রাস-বৃদ্ধি, ন্যায়-অন্যায় ও আইনের শাসন বিবেচনা পায় না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি- কথাটা বহুল উচ্চারিত। সমাজের সব স্তরে ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, প্রবল-দুর্বল সবার মধ্যে বিরাজ করছে জাতীয় হীনমন্যতাবোধ। নৈতিক-পতনশীলতা, দেশপ্রেমের ও জাতীয়তাবাদী চেতনার অভাব- ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয় এবং অরাজনৈতিক উপায়ে সামাজিক আন্দোলন, নাগরিক আন্দোলন ইত্যাদির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রচার চালানো হয়। পলিটিক্যাল সোসাইটিকে যতটা সম্ভব দুর্বল করে সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশনগুলোকে যথাসম্ভব শক্তিশালী করার কার্যক্রম ১৯৮০-র দশক থেকে চালানো হচ্ছে। পলিটিক্যাল সোসাইটি বলতে বোঝানো হয় সরকার, রাজনৈতিক দল, মন্ত্রিপরিষদ, জাতীয় সংসদ, প্রশাসন ব্যবস্থা ইত্যাদিকে। আর বিভিন্ন সোসাইটি অরগানাইজেশন হলো ইলেকশন ওয়াচ, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং এলায়েন্স, পার্লামেন্ট ওয়াচ, এডুকেশন ওয়াচ, মাইনরিটি ওয়াচ, ইলেকশন কমিশন ওয়াচ, সুজন, সিপিডি, নারীবাদী সংগঠন, পরিবেশবাদী সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন ইত্যাদি। এগুলোর পাশে সক্রিয় আছে এনজিওগুলো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পলিটিক্যাল সোসাইটি ও সিভিল সোসাইটির তত্ত¡ এবং ডিপলিটিসাইজেশন বা নিঃরাজনীতিকরণ সম্পর্কে কোনো সচেতনতা এবং জাতীয়তাবাদ আছে বলে মনে হয় না।

জাতীয়তাবাদ ছাড়া দেশপ্রেমের মূল্য কী? উচ্চশ্রেণির লোকেরা অন্ধভাবে তাদের সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রের নাগরিক করে চলছেন। প্রাইভেট আলাপে তারা বলে থাকেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে viable নয়। রাষ্ট্র পরিচালনায় ও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে যারা আছেন, তাদের এক পা বাংলাদেশে আর এক পা বিদেশে। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ভারতও অত্যন্ত তৎপর। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ভারতের পরিকল্পনা কী? যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু হয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অপকর্ম সম্পর্কে নীরব থেকে এবং সহযোগী থেকে ভারতের শাসকশ্রেণি ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়েই বা কী ভাবছে। ভারতের রাজনীতিতে ধর্মীয় শক্তির যে উত্থান দেখা যাচ্ছে, তা ভারতের জনগণকে কোন নিয়তির দিকে নিয়ে চলছে? বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ধর্মীয় শক্তি বর্ধিষ্ণু এবং কথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা তাদের রাজনীতিতে ধর্মকে গ্রহণ করে নিচ্ছেন। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতাবাদ সম্পূর্ণ বিভ্রান্তির মধ্যে হারিয়ে গেছে। নির্বাচনকে বলা হয় জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় উৎসব। জনগণ কী পাচ্ছে, কী পাবে এই উৎসবে মেতে? যেভাবে নির্বাচন হয়ে আসছে এবং যে রাজনীতি চলে আসছে তাতে জনগণের জন্য নির্বাচন কি খুব গুরুত্বপূর্ণ? রাজতন্ত্রের যুগে রাজা-জমিদাররা জনগণের জন্য কি কিছুই করেননি? অসামরিক স্বৈরাচারের পর সামরিক স্বৈরাচার, সামরিক স্বৈরাচারের পর অসামরিক স্বৈরাচার তারপর আবার অসামরিক স্বৈরাচার ও সামরিক স্বৈরাচার- এই ধারাতেই তো চলে আসছে আমাদের রাজনীতি। রাজনৈতিক অবস্থাকে উন্নত করার জন্য রাজনৈতিক মহলে যে সব চিন্তাভাবনা দেখা যায়, সিভিল সোসাইটি মহলে যে সব চিন্তাভাবনা দেখা যায়, বামপন্থি মহলে যে সব চিন্তাভাবনা দেখা যায় তা নিয়ে আমাদের রাজনীতি উন্নত হবে? সবার চিন্তাই তো আটকে আছে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে, লেভেল প্লেইং ফিল্ড ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে। এতে সুস্থ স্বাভাবিক স্বাধীন চিন্তাশীলতার পরিচয় কোথায়? উন্নত চরিত্রের রাজনৈতিক দল গঠনের বিবেচনা বাদ দিয়ে, সামাজিক আন্দোলন আর নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দাঁড়াবে?

২০০২ সালে র‌্যাব গঠন করা হয়েছিল মার্কসবাদী বিপ্লবী বলে আত্মপরিচয় দানকারীদের দমন করার জন্য। তখন ইসলামের নামেও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চলছিল। কিন্তু তাদের নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন ছিল না। র‌্যাবের প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলছে ক্লিন হার্ট অপারেশন, এনকাউন্টার, ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ইত্যাদি নামে বিনা বিচারে সন্দেহভাজনদের হত্যা করা। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির হাতে নিহত হয়ে চলছে সন্দেহভাজন চরমপন্থিরা। এখন সরকারি প্রচার ও তৎপরতা থেকে বোঝা যাচ্ছে ইয়াবা, ভায়াগ্রা ইত্যাদি ড্রাগে সারাদেশে বহু লোক নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ সবের বিস্তার সরকারকে উদ্বিগ্ন রাখছে। দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন সন্দেহভাজন ড্রাগ ব্যবসায়ীদের বিনা বিচারে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হচ্ছে। বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জঙ্গিবাদী প্রবণতার স্রোতও সমাজে ফল্গুধারার মতো বহমান আছে।

অসামাজিক কার্যকলাপ, পরকীয়-পরকীয়া, বিকৃত যৌনাচার, ধর্ষণ, হত্যা আত্মহত্যা ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। হত্যা-আত্মহত্যা, গুম বাড়ছে। সামাজিক অনাচার ও ঘুষ-দুর্নীতি বাড়ছে। সমাজের স্তরে স্তরে জুলুম-জবরদস্তি অনেক বেড়েছে। কেড়ে নেয়া, মেরে খাওয়া বাড়ছে।

শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে চলছে। সরকারের ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভ‚মিকা কি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে রক্ষা করার অনুকূল? দেশ আর রাষ্ট্র এক নয়। দেশ থাকবে। জমাজমি, পাহাড়, টিলা, বনভূমি, নদীনালা, খালবিল, গাছপালা, পশুপাখি, আকাশ-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য সবই থাকবে; কিন্তু রাষ্ট্র বলে যে ব্যাপারটি মানুষে তৈরি করে- যার মধ্য দিয়ে জনগণ সভ্যতার পরিচয় দেয়- তা থাকবে না। এই তো সম্ভাবনা এর বিপরীত সম্ভাবনাও আছে। বিপরীত সম্ভাবনার দিকে কারো মনোযোগ দেখা যায় না।

বিচার ব্যবস্থার প্রতিও জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিচারের রায় হওয়ার পর পরাজিত পক্ষের ও বিজয়ী পক্ষের আইনজীবীরা বিচারের এজলাস থেকে বের হয়েই সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে যে সব কথা বলেন, যেগুলো প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দেশি-বিদেশি প্রচার মাধ্যম থেকে প্রচারিত হয় তাতে বিচারের রায়, বিচারক, বিচারালয় ও আইনের প্রতি চরম অনাস্থা ও অবজ্ঞা প্রকাশিত হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা- এটর্নি জেনারেল- কি বিচার, বিচারক, বিচারালয় ও আইনের প্রতি জনগণের আস্থা রক্ষা করতে পারছেন?

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতের, লুটপাটের ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম্যের যে সব বিবরণ প্রচার মাধ্যমে আগে সেগুলোতেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব নিয়ে সংশয়ী হওয়ার কারণ ঘটে।

বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি চাকরিতে চলমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন চলছিল, সরকার অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সেটি থামাতে পেরেছে। এতে সরকারের শক্তির ও কৃতিত্বের পরিচয় আছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান কী করা হবে? অন্য সব সমস্যারও পর্যায়ক্রমিক সমাধান সরকারের কাছে প্রত্যাশিত। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আইন-আদালত, জেলখানা, ফাঁসিকাষ্ঠ, বন্দুকযুদ্ধ আর বিশ^ব্যাংকের উন্নয়ন তত্ত¡ নিয়ে সমস্যার সমাধান অল্পই করা যাবে। সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে নতুন স্বাধীন, আন্তরিক চিন্তাভাবনা ও নতুন কর্মধারা দরকার।

আবুল কাসেম ফজলুল হক : বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App