সীতাকুণ্ড বন্যশূকর ধরার জন্য নিজেদের পাতা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন সানমার প্রপার্টিজ নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের দুজন নিরাপত্তারক্ষী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারী এলাকার একটি পাহাড় থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরা হচ্ছেন- রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনার বাসিন্দা ক্যাসাচিং মারমা (৪০) ও উবাচিং মারমা (৪০)।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান সাংবাদিকদের জানান, সানমার প্রপার্টিজ লিমিটেডের পাহাড়ের পাদদেশে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফেলা বর্জ্যরে লোভেই রাতে শূকর আসত। পাহাড়ের নিরাপত্তায় সানমারের নিয়োগ করা ৭ জন নিরাপত্তারক্ষী কাজ করতেন এবং তাদের সবাই আদিবাসী। তারা শূকরের চলাচলের পথে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সংযোগ দিয়ে তার বিছিয়ে রাখতেন। শূকর তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে সেটা শিকার করতেন খাওয়ার জন্য। গত বুধবার রাতেও একইভাবে শূকর ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছিলেন তারা। বুধবার রাতের কোনো এক সময় অথবা বৃহস্পতিবার ভোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজন মারা যান। সকালে অপর নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের খোঁজাখুঁজি করে তাদের মরদেহ দেখে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।