×

পুরনো খবর

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৮, ০৪:৪১ পিএম

আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছেন একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। গত ৩০ বছর ধরে আসনটি ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি আলহাজ দবিরুল ইসলাম। তবে এবার একাধিক ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলের জেলা সভাপতি আলহাজ দবিরুল ইসলাম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায়, জেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোস্তাক আহমেদ টুলু, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি দবিরুলের ছোট ভাই সফিকুল ইসলাম। বিএনপি থেকে মনোনয়ন লাভের চেষ্টা করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা জেড মুর্তুজা তুলা, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আব্দুস সালাম। জাতীয় পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সহসভাপতি নুরুন নাহার বেগম এবং জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মাওলানা আব্দুল হাকিমের নাম শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচনী কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দলের পুনর্বিন্যাস, সভা-সেমিনার, সেবামূলক কর্মকান্ড ও নেতাকর্মীদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান। আ.লীগের বর্তমান এমপি আলহাজ দবিরুল ইসলাম ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায়কে নির্বাচনকেন্দ্রিক জনসংযোগ ও কর্মিসভা করতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে মাঠপর্যায়ে নানামুখী প্রচার প্রচারণায় রয়েছেন অন্যান্য দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। বর্তমান এমপি আলহাজ দবিরুল ইসলাম বলেন, এলাকায় আশাতীত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি প্রত্যাশা করি এ আসনের ভোটাররা আমাকে পুনরায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার বলেন, আমি সব সময় তৃণমূলে আপামর জনগণের পাশে থেকেছি। তাদের সুখে-দুঃখে নানামুখী কর্মসূচি নিয়েছি। বর্তমানে এ জনপদের সঠিক চিত্র ভালোভাবে নেত্রীর কাছে উপস্থাপন হলেই তিনি এ আসনে আমাকেই মনোনয়ন দেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে মানুষের কল্যাণে কলেজ, মাদ্রাসা, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছেন এবং এলাকায় নিজেকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলে জানান তিনি। এর মধ্যে দলীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা যায়। জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোস্তাক আলম টুলু জানান, এ আসনে আ.লীগে মানুষ নতুন মুখ চায়। বর্তমান এমপিকে মনোনয়ন দিলে আসনটি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই নতুন কেউ মনোনয়ন পেলে নৌকা মার্কার জয় নিশ্চিত হবে। তিনি ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে আছি, থাকতে চাই। তাই আমি মনোনয়ন প্রত্যাশা করি। তবে আ.লীগের সব প্রার্থীই একই সুরে জানান, দলীয় নেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন সবাই তার হয়ে কাজ করবেন। অপরদিকে বিএনপির পক্ষে ডক্টরস এসোসিয়েসন অব বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আব্দুস সালাম জানান, তিনি ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি বালিয়াডাঙ্গীতে বেশ কয়েকটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেছেন। এ ছাড়াও গরিব দুঃখীদের নানাভাবে সহায়তা করে আসছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জেড মুর্তুজা তুলা জানান, এ আসনের মানুষ পরিবর্তন চায়। আওয়ামী লীগের বর্তমান ইমেজ অনেক কারণে নষ্ট। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় গণসংযোগ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছি। নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। এদিকে এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নের জন্য ইতোমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছেন নুরুন নাহার বেগম। তাকেও নানামুখী কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নানামুখী কর্মকান্ড চলছে। দলগুলো থেকে কে পাবেন মনোনয়ন তার জন্য এখন অপেক্ষার পালা। এ আসনে পুরাতন ইতিহাস মুছে ফেলে ৩০ বছর ধরে দখলে থাকা প্রার্থীকে টপকিয়ে অন্য কেউ মনোয়ন পাবেন কিনা, সেই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী কোণঠাসা হওয়ায় আব্দুল হাকিম প্রার্থী হবেন কিনা এবং তিনি বিএনপির ২ প্রার্থীর সঙ্গে মিলে জোট থেকে একক প্রার্থী দেয়া হবে কিনা এ সব কিছুই এখন দেখার অপেক্ষা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App