×

বিনোদন

মাকে দেখাতে কাশিমপুর কারাগারে তাজিনের মরদেহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০১৮, ১২:৫৯ পিএম

মাকে দেখাতে কাশিমপুর কারাগারে তাজিনের মরদেহ
শেষবারের মতো মাকে দেখাতে তাজিন আহমেদের মরদেহ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের ফটকে নেওয়া হয়। পরে তাজিনের মাকে কারাগারের ভেতর থেকে কারা ফটকে এনে মেয়ের মরদেহ দেখানো হয়। কিছু সময় পরেই আবার তাজিনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বুধবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ কারাফটকে নেওয়া হয় বলে জানান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের জেলার উম্মে সালমা। ছোট পর্দার অভিনেত্রী, সদা হাস্যোজ্জ্বল তাজিন হঠাৎ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। সন্ধ্যায় উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের একটি মসজিদে গোসল শেষে তাজিনের মরদেহ উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট হাসপাতালে রাখা হয়। সেখান থেকে রাত ১০টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ। বুধবার সকালে কিছু সময় উত্তরার আনন্দ বাড়ি শুটিং স্পটে রাখা হয় তাজিন আহমেদের মরদেহ। সেখানে তার সহকর্মী ও শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই তাকে শেষ বারের মতো দেখতে আসেন। এরপর বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজার পর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার বাবার কবরে তাকে দাফন করা হবে। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর বলে তখনই তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। বিকেল ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর হোসেন তাজিন আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাজিন আহমেদের জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই নোয়াখালী জেলায়। বেড়ে উঠেছেন পাবনা জেলায়। ১৯৯২ সালে ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৯১ সালে বিটিভিতে ‘চেতনা’ নামের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থাপনা শুরু করেন। এনটিভিতে প্রচারিত ‘টিফিনের ফাঁকে’ অনুষ্ঠানে টানা ১০ বছর উপস্থাপনা করেন তিনি। একাত্তর টিভিতে ‘একাত্তরের সকাল’ অনুষ্ঠানেও হাজির হয়েছেন। অভিনয়-উপস্থাপনার পাশাপাশি তাজিন আহমেদ সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৯৪ সালে তিনি দৈনিক ভোরের কাগজের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি প্রথম আলোর শুরুর দিকে প্রদায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আনন্দ ভুবন পত্রিকায় কলাম লেখক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০২ সালে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডে যোগ দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App