×

পুরনো খবর

আ.লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০১৮, ০৩:৩৫ পিএম

আ.লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী
জেলার বড় দুটি উপজেলা গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম নিয়ে নাটোর-৪ আসন গঠিত। গত সংসদ নির্বাচনে এ আসনে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এ আসনে আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অন্ত নেই। সংসদ সদস্যের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব, মেয়রের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্ব›দ্ব। আর দলের নেতাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত হচ্ছে সমঝোতা আবার লড়াই। অভিযোগ রয়েছে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রার্থী হলে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন। এসব দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দুটি উপজেলার বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সম্মিলিতভাবে গুরুদাসপুরে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। আর এসব দ্বন্দ্বের জেরে স্বয়ং সংসদ সদস্য নিজ উপজেলা গুরুদাসপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা অবাঞ্ছিত হয়ে বাস করেন বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের রেস্ট হাউসে। এসব বিষয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরোধ থাকতেই পারে। তবে আসলে এলাকার ভোটাররা যা চায় সেটাই হয়। এ আসনটিতে তার বিরুদ্ধে প্রতিবারই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধাচারণ করার পরও শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচিত হন এবং তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এআসন আওয়ামী লীগের দখলেই থাকবে। তবে এলাকার অনেক নেতাকর্মী মনে করেন দলের মধ্যে থাকা বিরোধ নিষ্পত্তি না করলে আগামীতে দলের জন্য আসনটি ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হবে। কারণ অন্যবারের চেয়ে এবার দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিশৃঙ্খলা ও বিরোধ অনেক বেশি। বর্তমানে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের জন্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, গুরুদাসপুর পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ মোল্লা, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মোহাম্মাদ আলী, বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রতন সাহা, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের আহ্বায়ক প্রয়াত এমপি রফিক সরকারের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ লবিং-গ্রুপিং ও জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। এ আসনে বিএনপিতেও রয়েছে ব্যাপক কোন্দল। ফলে এ আসনে বিএনপির কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। এ আসনে প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ও বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কাসেম সরকারের নাম শোনা যাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App