×

মুক্তচিন্তা

গাজীপুর কি খুলনা হবে?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০১৮, ০৬:৩৭ পিএম

প্রশ্ন হলো, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কি ভিন্ন চিত্র ছিল? বিএনপি আবার ক্ষমতায় গেলে কি এর থেকে ভালো কিছু করবে? উত্তর যদি ‘না’ হয় তাহলে মানুষ কেন আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে ভোট দেবে? রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ভালো রাজনৈতিক চর্চার জন্য চাপ সৃষ্টি না করে শুধু ক্ষমতা বদলের রাজনীতির প্রতি আমাদের এত আগ্রহ কেন?

খুলনা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন একই দিন হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন উচ্চ আদালত। সীমানা নিয়ে বিরোধ আছে মর্মে স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা হাইকোর্টে রিট করায় আদালত গাজীপুরের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরে বিএনপি প্রার্থী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং নির্বাচন কমিশনের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আগামী ২৬ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছে নির্ধারিত ১৫ মে তারিখেই।

খুলনায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২টি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৫৬ ভোট। প্রধান দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৬৭ হাজার ৯৪৬টি। বলা যায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বড় ভোটের ব্যবধানেই জিতেছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে আরো তিনজন প্রার্থী ছিলেন। জাতীয় পার্টির এস এম মুশফিকুর রহমান, তিনি ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৭২টি। সিপিবির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবু পেয়েছেন ৫৩৪ ভোট। (তিনি ভোট সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। ভাগ্যিস বলেননি যে, ক্ষমতাসীনরা তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে!) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মোজাম্মেল পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৬৩ ভোট। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো মারামারি হানাহানি হয়নি। কেউ আহত-নিহত হয়নি। কিন্তু নির্বাচন শেষে বিএনপিসহ কেউ কেউ অভিযোগ করছে, খুলনায় নির্বাচনের নামে ‘প্রহসন’ হয়েছে। ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, খুলনার নির্বাচনে কিছু জালভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে, কিছু কারচুপি হয়েছে কিন্তু সেটা ভোটের ফলাফল উল্টে দেয়ার মতো নয়। বিএনপি নির্বাচনের সময় চাপের মধ্যে ছিল, পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে, গ্রেপ্তার আতঙ্কে কাউকে হয়তো গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে হয়েছে- এ সব সত্য। কিন্তু এ সব কারণেই বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি বলে যারা বলছেন তারা ঠিক বলছেন বলে মনে হয় না। যে অনিয়মগুলো হয়েছে সেগুলো না হলে হয়তো নৌকা-ধানের শীষের ভোট ব্যবধান কমত কিন্তু জয়-পরাজয় বদলে যেত না। নির্বাচনে পরাজিত হলে ফলাফল না মানা আমাদের দেশে রাজনৈতিক কালচারে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হলেও হয়তো বলা হতো বিএনপি কারচুপি করে জিতেছে!

বিএনপির ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথমত, কে কাকে ভোট দেবেন সেটা কারো কপালে লেখা থাকে না। তাই দলীয় বা মার্কার ভোটার আগেভাগে চিহ্নিত করা সহজ না। যারা নেতাকর্মী, যারা চিহ্নিত এবং পরিচিত তাদের ভোট প্রদানে বাধা দিলে সেটা একটি বড় বিষয় হতে পারত। কিন্তু কোনো গণমাধ্যমেই এমন খবর দেখিনি যে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোট দিতে পারেননি। বিএনপির ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা সুনির্দিষ্ট নয়, কারণ বিএনপির ভোটার চিহ্নিত করা হয়েছে কীভাবে? দ্বিতীয়ত, বিএনপির ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে যেতেই না পারতেন তাহলে ধানের শীষ এক লাখের বেশি ভোট পেল কীভাবে? নাকি, খুলনায় আওয়ামী লীগের কোনো সমর্থক এবং ভোটার নেই? বিএনপি বা অন্য দলের প্রার্থী জিতলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে আর আওয়ামী লীগ জিতলে তা নয় এই মানসিকতা সত্যিকার অর্থেই ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এক বড় অন্তরায়।

বিএনপি যেসব অভিযোগ করছে তা মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হলেও বিএনপি এ সব অভিযোগ করত। সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা তাদের সুবিধাজনক নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির দাবিতে যে আন্দোলন পরিকল্পনা করেছে তার ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য তাদের নানা ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করতেই হবে।

প্রশ্ন হতে পারে, বিএনপি ছাড়াও আরো কেউ কেউ কেন খুলনা নির্বাচনকে ভালো নির্বাচন হিসেবে মানছেন না? যারা মনে করছেন, খুলনায় ফলাফল উল্টে দেয়া হয়েছে, তারা কেউ বর্তমান সরকার বা আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভ‚তিশীল বলে মনে হয় না। আমাদের দেশে এমন একটি সুশীল সমাজ গড়ে উঠেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে। এরা আওয়ামী লীগের ছোট দোষকে বড় করে দেখে আর বিএনপির বড় দোষকেও আড়াল করে রাখে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি যত ধরনের দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে এই দলটি যত নৃশংস ভূমিকা নিয়েছে, গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে বিএনপি যত অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ চালিয়েছে- সে সব বিষয়ে চুপ থেকে সরকারকে একতরফা গণতন্ত্রের ‘সবক’ দেয়া যাদের অভ্যাস তারা আসলে গণতন্ত্রের মিত্র কি না তা গভীরভাবে ভেবে দেখা দরকার।

খুলনায় মোট ভোটার প্রায় পাঁচ লাখ। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় তিন লাখ ভোটার। দুই লাখ ভোটারই ভোট দানে বিরত থেকেছেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষ কেন ভোট দিতে উৎসাহ বোধ করলেন না, তা নিয়ে কোনো বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন কোনো গণমাধ্যমে দেখলাম না। এটা কি শুধু ভয়ভীতির কারণে? আওয়ামী এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি অনাস্থা নাকি অন্য কোনো কারণ? আমরা জাতিগতভাবেই বোধহয় উত্তেজনা এবং নাটকীয়তা পছন্দ করি। সহজে বাহবা পাওয়ার মতো চটুল মন্তব্য করার প্রবণতা আমাদের দেশের জ্ঞানী-গুণীদের মধ্যেও দেখা যায়। কোনো বিষয়ের গভীরে যাওয়ার আগ্রহ আমাদের কম। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ঢালাও মন্তব্য করতে আমরা পারদর্শী।

মানুষ কোন দল বা কোন প্রার্থীকে ভোট দেবে সেটা তাদের কাছে জানতে না চেয়ে আমরা আমাদের চাওয়ার বিষয়টি ভোটারদের ওপর চাপিয়ে দেই। বিএনপি অপপ্রচারে দক্ষ একটি দল। আমাদের জনগোষ্ঠীর এক বড় অংশের হুজুগপ্রিয়তার বিষয়টি মাথায় রেখে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগবিরোধী অপরাপর শক্তি-গোষ্ঠীগুলো কৌশলে এই কথাটি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। মানুষের এই মনোভাব কোথায়, কীভাবে ব্যক্ত হয়েছে? মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট না দিয়ে কাকে ভোট দেবে? আওয়ামী লীগের চাইতে ভালো রাজনৈতিক দল কি দেশে আছে? মানুষ ‘ভালো’ রাজনীতি খুঁজলে সিপিবি প্রার্থী ৫৩৪ ভোট পান কেন?

বিএনপি কি আওয়ামী লীগের বিকল্প হতে পারে? বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় ছিল। তারা কি আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালোভাবে দেশ চালিয়েছে? আওয়ামী লীগের কিছু মন্ত্রী-এমপি নেতাকর্মী দুর্নীতি করেছেন, স্বজনপ্রীতি করেছেন, চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়েছেন- এগুলো মিথ্যা নয়। প্রশ্ন হলো, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কি ভিন্ন চিত্র ছিল? বিএনপি আবার ক্ষমতায় গেলে কি এর থেকে ভালো কিছু করবে? উত্তর যদি ‘না’ হয় তাহলে মানুষ কেন আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে ভোট দেবে? রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ভালো রাজনৈতিক চর্চার জন্য চাপ সৃষ্টি না করে শুধু ক্ষমতা বদলের রাজনীতির প্রতি আমাদের এত আগ্রহ কেন?

আমার ধারণা, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মধ্যে সুবিবেচনা কাজ করেছে। সাধারণ ভোটাররা তাদের স্বার্থ বিবেচনা করেই ভোট দিয়েছে। ভোট নিয়ে যে অনিয়ম হয়েছে তা সরকার পক্ষের আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকেই হয়েছে। আওয়ামী লীগের উচিত ছিল আরো বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়া এবং যেসব ভুল বা ভ্রান্ত ধারণা বিরোধী মহল থেকে প্রচার করা হয় তার সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ জবাব দেয়া।

খুলনার পর গাজীপুর। এবার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হবে গাজীপুর। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার সংলগ্ন হওয়ায় গাজীপুর মনোযোগ কাড়বে বেশি। খুলনা বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ স্বভাবতই গাজীপুর নিয়েও আশাবাদী হবে। আবার বিএনপিও খুলনার ধাক্কা সামলে ওঠার জন্য গাজীপুরে মরিয়া চেষ্টা নেবে। খুলনা এবং গাজীপুরের চিত্র ভিন্ন। খুলনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী ছিল সমানে সমান। কিন্তু গাজীপুরে বিএনপির হাসানউদ্দিন সরকারের তুলনায় আওয়ামী লীগের এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নবীন এবং অনভিজ্ঞ বলেই কেউ কেউ মনে করেন। খুলনায় প্রার্থীর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো বিরোধ-অনৈক্য ছিল না। গাজীপুরে আছে বলে শোনা যায়। বিশেষ করে গতবারের প্রার্থী আজমতুল্লাহ খান এবং তার সমর্থকদের পক্ষে নামানো জাহাঙ্গীর আলমের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেয়ায় আরো অখুশি পক্ষ আছে। ভেতরে ভেতরে তারা হয়তো জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধেই কাজ করছে।

আওয়ামী লীগের ভেতরকার দ্বন্দ্বের যদি অবসান না হয় তাহলেও বিপদে পড়তে হবে দলীয় প্রার্থীকে। খুলনার ফল গাজীপুরে পেতে হলে আওয়ামী লীগকে অনেক ফাঁক-ফোকর মেরামত করতে হবে। যে সময়টুকু আছে তা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাতে হবে। ভোট ব্যাংকগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে।

গাজীপুরে বিএনপির প্রার্থী খুলনার পর নড়েচড়ে বসছেন। হাসানউদ্দিন সরকার পাকা রাজনীতিবিদ। দলবদলেও অভিজ্ঞ। আগে জাতীয় পার্টি করতেন। তার প্রতি স্থানীয় জাতীয় পার্টির সহানুভ‚তি আছে। খুলনা থেকেও তিনি শিক্ষা নেবেন সেটাই স্বাভাবিক। হাসানউদ্দিন সরকার বলেছেন, ‘আমরা গাজীপুরে খুলনার মতো ভোটকেন্দ্র দখল করতে দেব না। ভোটকেন্দ্র রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রতিটি কেন্দ্রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। আমাদের কর্মীরা জীবন দিয়ে হলেও ব্যালট পেপার রক্ষায় বদ্ধপরিকর’। বিএনপি প্রার্থীর এ সব বক্তব্য আত্মবিশ্বাস থেকে বলা, নাকি এটা প্রচ্ছন্ন হুমকি ও উসকানি সেটা বোঝা দরকার। নির্বাচনটা শারীরিক শক্তি পরীক্ষার ক্ষেত্র নয়। অহেতুক উত্তেজনা ছড়িয়ে নির্বাচনের পরিবেশ যেন বিঘ্নিত করা না হয়।

গাজীপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত। আগের সিটি নির্বাচনে সে ঘাঁটির পতন হয়েছিল। তখন ‘হেফাজত সিন্ড্রোম’ ছিল। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম হাটহাজারী গিয়ে শফী হুজুরের পা ছুঁয়ে সালাম করে এসেছেন। এতে হুজুর সমর্থকরা কি নৌকায় ভোট দেবেন? আওয়ামী লীগের যারা ট্র্যাডিশনাল ভোটার, ভোট ব্যাংক সেগুলো ঠিক আছে তো? নতুন ব্যাংক হিসাব খুলতে গিয়ে পুরনো হিসাব যেন ‘ফ্রিজ’ হয়ে না যায় সেদিকে নজর রাখা দরকার। টঙ্গী-গাজীপুরের শ্রমিক-কর্মচারী, বস্তিবাসী, নারী, সংখ্যালঘু এবং নতুন ভোটারদের যেন কোনোভাবেই উপেক্ষা করা না হয়।

বাইরের জলুসপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা দেখে, মিছিল-মিটিংয়ের উপস্থিতি দেখে ভোটের প্রকৃতচিত্র বোঝা যায় না। মানুষের মনের গতি-প্রকৃতি বিচিত্র! কিছু মানুষ আছেন যারা ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। তারা ভোট নষ্ট করতে চান না। প্রথমে যাকে ভোট দেয়ার কথা ভাবেন শেষ মুহূর্তে তার জয়ের সম্ভাবনা না দেখলে সিদ্ধান্ত পাল্টান। এমন কি হয়তো ভোট দানে বিরতও থাকেন। খুলনায় এমন হয়ে থাকতে পারে। দেখা যাক, গাজীপুরে কি হয়!

বিভুরঞ্জন সরকার : সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App