×

জাতীয়

আ.লীগে এক ঝাঁক তরুণ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০১৮, ০৪:০০ পিএম

আ.লীগে এক ঝাঁক তরুণ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী
আ.লীগে এক ঝাঁক তরুণ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসন বেশ সরগম হয়ে উঠেছে। প্রার্থী বাছাই করতে গোটা নির্বাচনী এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা আর বিশ্লেষণ। যিনি হবেন তরুণ, সৎ, যোগ্য এবং কর্মীবান্ধব। যাকে দিয়ে তাদের জীবন মান উন্নয়নে সরকারের চলমান কর্মপরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে। গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। ১৮টি ইউনিয়ন আর ১টি পৌরসভা নিয়ে আসনটিতে মোট ভোটার প্রায় ৩ লাখ। যার প্রায় অর্ধেকই নারী। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে আবদুল বারেক মিয়া, ১৯৭৯ সালে বিএনপির আবদুল বাতেন তালুকদার, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, ১৯৮৮ সালে জাপার ইয়াকুব আলী চৌধুরী বাদশা, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ১৯৯৬ সালের ফেব্রæয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির শাহজাহান খান, একই বছর সব দলের অংশগ্রহণে ফের নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবারো আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় এলাকায় একেবারে অপরিচিত গোলাম মাওলা রনিকে। বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েও দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে তিনি বিএনপি-জামায়াতকে অগ্রাধিকার দেন। নিজের শ্যালক বিএনপি নেতা মকবুল এবং জামায়াত-শিবির ক্যাডার নিয়ে গড়ে তোলেন ভাইয়া বাহিনী। এরা টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে জমি দখল কমিশন বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। দশম জাতীয় নির্বাচনে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ১৯৭৫ সালের কালো অধ্যায়ের পর বহু আন্দোলন-সংগ্রাম আর ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ। এ আসন থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। এ সময় সারা দেশের ন্যায় এ ভাটি এলাকার উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হন তিনি। সড়ক যোগাযোগসহ গ্রামীণ অবকাঠামো তৈরিতে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দাম্ভিকতা, অহমিকা ও স্বজনপ্রীতির। তার জন্যই জেলা আওয়ামী লীগে কোন্দল রয়ে গেছে। জেলার প্রথম সারির অনেক নেতা বলেন, জাহাঙ্গীর ভাই এখন নানা রোগে আক্রান্ত। তারা এবার তরুণ, ক্লিন ইমেজের কর্মীবান্ধব নৌকার কাÐারি দেখতে চান যিনি সৎ, যোগ্য ও সাদা মনের মানুষ। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনÑ চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন, দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন, দশমিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা কামরান শহীদ মহাব্বাত প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা এড. ফজলুল হক ও ব্যবসায়ী এস এম শাহজাদা। এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীর ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার শোভা পাচ্ছে হাট-বাজার, অলিগলিসহ সর্বত্র। নির্বাচনী এলাকায় ঘন ঘন গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে জানান দিচ্ছেন প্রার্থিতার কথা। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রæতি। অপরদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনÑ কেন্দ্রীয় নেতা হাসান আল মামুন, ১৫ ফেব্রæয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিজয়ী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহজাহান খান ও শিল্পপতি গোলাম মোস্তফা। তারাও মনোনয়ন প্রত্যাশায় এলাকায় ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। তবে জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App