×

জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর ‘গুজবের মহানায়ক’

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০১৮, ০৯:৪৭ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর ‘গুজবের মহানায়ক’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান (বাঁয়ে) ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে ‘গুজব ছড়ানোর মহানায়ক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলে গত ১০ এপ্রিল মধ্যরাতে ঘটে যাওয়া ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনায় কারণ দর্শানোর নামে সাধারণ ছাত্রীদের হয়রানি না করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রমজান মাস ও সেশনজটের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রজ্ঞাপন না হওয়া পযন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলমান থাকবে।

হাসান আল মামুন বলেন, ‘ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টর সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইশরাত জাহান এশাকে বহিষ্কার করে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে রাতের বেলা যে কথা বলেছেন সকালে মাননীয় উপাচার্য এবং প্রক্টর স্যার তাদের কথা ঘুরিয়ে নিলেন। তারা বললেন, “এশা নির্যাতন করেনি।” কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এশাকে হেনস্তার অভিযোগে আরও ২৫ জন ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’

মামুন আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ ছাত্রীদের আন্দোলনের কারণে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই ২৫ জনকে নোটিশ দিয়েছে। তারা নাকি অসত্য তথ্য দিয়ে, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। তবে আমি মনে করি, তারা যদি গুজব ছড়ায় তাহলে উপাচার্য স্যার এবং প্রক্টর স্যার গুজবের মহানায়ক। কারণ তারাই ওই রাতে বেশি গুজব ছড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর, নির্যাতন, হল ত্যাগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। একটি অতিউৎসাহী ও কুচক্রী মহল সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এসব নোংরা ও ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর ওই দিন গুজব ছড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে দায়ী করে বলেন, ‘ওই রাতে ঘটনার পরপরই ঢাবি উপাচার্য এবং প্রক্টর গণমাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার করে বলেছিলেন, তারা এশার নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাহলে সেদিন সত্য তথ্য উদঘাটন না করে কিসের ভিত্তিতে এশা কে বহিষ্কার করেছিলেন? নাকি কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। তা জাতির কাছে আমাদের প্রশ্ন।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App