×

মুক্তচিন্তা

অব্যবস্থাপনা কতদিন চলবে?

Icon

কাগজ অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০১৮, ০৯:১৬ পিএম

অনতিবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ ও নাজুক এসব সড়কগুলো নিরাপদ যান চলাচল উপযোগী করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ খাতে বিদ্যমান দুর্নীতির কারণেই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। চার লেন তৈরির সুফল নিশ্চিত করতে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসানে কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট এবার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নির্মাণকাজের দীর্ঘসূত্রতায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

সড়ক ব্যবস্থাপনার ত্রুটিসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হলে এই অসহনীয় পরিস্থিতি রমজান মাসে আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। তা কোনোভাবে কাম্য নয়। বুধবার ভোর থেকে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের মেঘনা টোল প্লাজা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট বিস্তৃত হয়। যানবাহন সংকটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয় বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের। বিকেলে পরিস্থিতি উন্নতি হয়। এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় নজিরবিহীন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের ফেনী অংশের ফতেপুরে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণকাজ চলায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাভোগান্তিতে পড়েছেন গাড়ির চালকসহ এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারীরা। সে সময় ঢাকা-চট্টগ্রামের ৬/৭ ঘণ্টার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগে ১৭/১৮ ঘণ্টা। এ পরিস্থিতি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ মহাসড়ক দিয়ে পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। চলাচলকারী যানবাহনের ৬০ শতাংশই পণ্যবাহী। যানজটের কারণে রমজান উপলক্ষে পণ্য সরবরাহে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই যানজট স্বাভাবিক হয়েছে। মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরছে বলা যায়। অন্যদিকে, ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানজটের অভিশাপ এ সড়ক ব্যবহারকারীদের ভোগাচ্ছে। মহাসড়কে নির্মাণকাজের জন্য যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি হঠাৎ করে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়কের টঙ্গী থেকে ভালুকা অংশের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট আর স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হলেও তার শতভাগ সুফল পাচ্ছেন না সড়ক ব্যবহারকারীরা।

অনতিবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ ও নাজুক এসব সড়কগুলো নিরাপদ যান চলাচল উপযোগী করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ খাতে বিদ্যমান দুর্নীতির কারণেই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা এবং অসাধু ঠিকাদারের যোগসাজশে অধিকাংশ রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত হয় নিম্নমানের সামগ্রী। ফলে ভারী যানবাহন চলাচল করার সময় এগুলো ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের সড়কপথগুলো সংস্কারে নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা এভাবে আর কতদিন চলবে? চার লেন তৈরির সুফল নিশ্চিত করতে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসানে কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App