×

ফিচার

মায়েদের জন্য অনন্য এক বিকেল

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০১৮, ০৭:৫৮ পিএম

মায়েদের জন্য অনন্য এক বিকেল
যারা অন্যের কণ্ঠ হয়ে মিডিয়াতে সামনে আসেন, তাদের গল্প ক’জন জানে- এভাবেই বক্তব্য শুরু করেন নভীনসের আমিনা হক। তার পরিচিতি এরোমা থেরাপী এক্সাপার্ট হিসেবে হলেও মা হিসেবে এবং মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্নমূলক সচেতনতার কাজ করে আসছেন। যার ধারাবাহিকতায গত ১৪ মে বিকেলটা তিনি কাটালেন মিডিয়া কর্মী মায়েদের সাথে। এটি একটি উন্মুক্ত আলাপের আয়োজন ছিল যেখানে মিডিয়ার নানা সেক্টরে কাজ করা নারী বলেছেন নিজেদের কথা। ডিবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক ইশরাত জাহান ঊর্মি বলেন, ‘মিডিয়ায় কাজ করতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা আসবেই। সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে নিজেকে। কেউ অধিকার দেবে না, অধিকারটা নিজের মনের মধ্যে আগে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবং অবশ্যই ‘লোকে কি বলবে’ এই মনোভাব দূর করতে হবে।’ প্রিয় ডটকমের পলা রহমান উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে তার বিদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং জানান কিভাবে ওখানে সরকার এবং সামাজিক সংস্থাগুলো মায়েদের কাজের সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দেয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মঞ্চ ব্যক্তিত্ব মুনিরা ইউসূফ মেমী তার থিয়েটার জীবনের শুরু এবং সমাজের চাপ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বলেন আবেগ নিয়ে। উল্লেখ করেন নিজের মায়ের ভূমিকার কথা। মেমী আরো বলেন, ‘আমাকে ঐ ছোটবেলাতেই বলা হয় যে মিডিয়াতে কাজ করলে মেয়েদেরকে কিভাবে বাঁকা দৃষ্টিতে দেখে সমাজ। তাই আমি নিজে ঐ জীবেনটাতে নিজের আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে শুধু কাজ করেছি, বন্ধুহীন থেকেছি। কিন্তু বন্ধু থাকা তো দোষের নয়!’ সংবাদ পাঠক শামীম আরা মুন্নী জানান, মিডিয়ায় কাজ করার কারণে তার প্রাক্তন শশুড়বাড়ির লোক কিভাবে বঞ্চিত ও মানসিকভাবে হেয় করেছেন। ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার বলেন, মা কর্মীকে উৎসাহ দিতে তিনি যখন তার অফিসে দুটো খাটের জায়গা করে দেন, তখন মায়েরা আরও আনন্দ নিয়ে কাজ করেন এটা তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। এভাবেই ছোট্ট ঘরোয়া আয়োজনে সবাই সবাইকে মেলে ধরেন। সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এবং পরিকল্পনাকারী রুম্পা সৈয়দা ফারজানা জামান বলেন, এ সময়ে নারীদের কাজ করার পথে বাধা আসে অহরহ। মিডিয়াতে যারা কাজ করেন, তাদের জীবনে আরো বাধার কমতি নেই। বিশেষ করে মায়েদের। কারণ এখন শহরে একক পরিবার হওয়াতে মায়েরা যথেষ্ট পটেনশিয়াল থাকা সত্বেও শিশুর নিারপত্তার খাতিরে চাকরি ছেড়ে দেয়। এক্ষেত্রে সরকার ও ব্যক্তি মালিকানা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানকেই এগিয়ে আসতে হবে। কারণ বাংলাদেশে এই মুহুর্তে তরুণ মায়েদের সংখ্যা অনেক যারা কাজ করছে, করতে চায় এবং করবে। অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী নিলুফার লিলি, নারী উদ্যোক্তা নাসরীন ইয়াকুব, নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক ডেপুটি ডিরেক্টর মিনা আশরাফীসহ বিভিন্ন সেক্টরের তরুন মায়েরা। অনুষ্ঠান শেষে, আমিনা হক জানানম এই আলাপের ধারাবাহিকতা চলবে। যেখাবে নভীনস চলছে প্রায় বিশ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি করেছে শত শত নারীর। সেভাবেই মায়েদের পাশে থাকবে নভীনস। তুলে আনবে মায়েদের কথা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App