×

বিনোদন

বড়পর্দার পরিচালকদের ছোট ১০ ছবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০১৮, ০৩:৪৩ পিএম

বড়পর্দার পরিচালকদের ছোট ১০ ছবি
হলিউডের সাড়া জাগানো মার্টিন স্কোরসেজি, ডেডিড লিঞ্চ, টিম বার্টন কিংবা তারান্তিনো কি একদিনেই খ্যাতিমান পরিচালক হয়েছিলেন? বলা হয়ে থাকে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। মেলার পাঠকদের জন্য আজ রইলো হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বানানো কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কথা। ১ হোয়াট’স অ্যা নাইস গার্ল লাইক ইউ ডুইং ইন এ পেস লাইক দিস (১৯৬৩) পরিচালক মার্টিন স্কোরসেজি (গুডফেলাস, ডিপার্টেড, হুগো) নিউইউর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় মার্টিন স্কোরসেজি ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে একটি আলোচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য বানিয়েছিলেন যার নাম ‘দ্য বিগ শেইভ’। তবে স্কোরসেজির সবচেয়ে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য হিসেবে ধরা হয় ‘হোয়াট’স অ্যা নাইস গার্ল লাইক ইউ ডুইং ইন এ পেস লাইক দিস’Ñ এই লম্বা নামের ছোট দৈর্ঘ্যরে ছবিটিকে যেখানে দেয়ালে টানানো ছবির দিকে মগ্ন এক মানুষের গল্প বলা হয়েছে। ২ মাই বেস্ট ফ্রেন্ডস বার্থডে (১৯৮৭) পরিচালক কোয়েন্তিন তারান্তিনো (পাল্প ফিকশন, কিল-বিল, জ্যাঙ্গো আনচেইনড) ‘মাই বেস্ট ফ্রেন্ড’স বার্থডে’ নামের ৭০ মিনিটের ছবিটিতে কোয়েন্তিন তারান্তিনো লেখা ও পরিচালনা করার পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করেছিলেন। ছবিটি নির্মিত হতে চার বছর সময় লেগেছিল। তবে তারান্তিনোর দুর্ভাগ্য হলো, পুরো ছবিটির প্রায় অর্ধেক ফুটেজ এটি সম্পাদনার সময় আগুনে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সবশেষে গল্প পুনর্বিন্যস্ত করে ৩৬ মিনিট দৈর্ঘ্যরে ছবিটি মুক্তি দেয়া হয়েছিল। ৩ ভিনসেন্ট (১৯৮২) পরিচালক টিম বার্টন (অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড, এডওয়ার্ড সিজারহ্যান্ডস) ফ্যান্টাসি ঘরানার বিজ্ঞ পরিচালক টিম বার্টনের শুরুর দিককার একটি কাজের নাম ভিনসেন্ট। সেই ১৯৮২ সালে স্টপ মোশন টেকনিক দিয়ে তিনি বানিয়েছিলেন ছয় মিনিটের এ হরর ছবিটি যেখানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা ভিনসেন্ট প্রাইস। ৪ দ্য ডিসিপ্লিন অফ ডিই (১৯৮২) পরিচালক গুন ভ্যান স্যান্ট (গুড উইল হান্টিং, মিল্ক, প্রমিসড ল্যান্ড) সদা উচ্চাভিলাষী পরিচালক গুন ভ্যান স্যান্ট নির্মাণ করেছিলেন লেখক উইলিয়াল এস বুরোগের গল্পে শক্তিশালী একটি সাদা-কালো ছবি যার নাম ‘গুন ভ্যান স্যান্ট’। লেখক বুরোগের গল্প থেকে ছবি নির্মাণের জন্য তিনি টেলিফোন ডিরেক্টরি থেকে লেখকের ঠিকানা নিয়ে সোজা হাজির হয়েছিলেন তার অ্যাপার্টমেন্টে। ৫ লুক্সো জুনিয়র (১৯৮৬) পরিচালক জন লেসেটার (টয় স্টোরি, এ বাগস লাইফ) জন লেসেটারের স্বল্পদৈর্ঘ্য লুক্সো জুনিয়র প্রথম সিজিআই অ্যানিমেটেড ছবি যেটি অস্কারের সেরা অ্যানিমেশন ছবি হিসেবে নমিনেটেড হয়েছিল। ডেস্ক ল্যাম্প নিয়ে বানানো এ ছবিটির সাফল্য দেখে মুভি স্টুডিও ‘পিক্সার’ রীতিমতো এটিকে তাদের নিজস্ব লোগো বানিয়ে ফেলেছিলেন। ৬ সিক্স মেন গেটিং সিক (১৯৬৬) পরিচালক ডেভিড লিঞ্চ (বু ভেলভেট, মুলোম্যান্ড ড্রাইভ, দ্য এলিফেন্ট ম্যান) পরাবাস্তব ঘরানার বিখ্যাত পরিচালক ডেভিড লিঞ্চ তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিল বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণের মধ্য দিয়ে যার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ‘সিক্স মেন গেটিং সিক’ ছবিটিকে। পেনসিলভ্যানিয়া একাডেমি অব ফাইন আর্টসে অধ্যরনয়ত অবস্থায় একটি সেমিস্টারের প্রজেক্ট হিসেবে লিঞ্চ বানিয়েছিলেন ৪ মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই ছবিটি। ৭ মে ডে-দ্য ক্রাম্বলিং অফ অ্যা ডকুমেন্টারি (১৯৮৭) পরিচালক কেভিন স্মিথ (ক্লার্কস, রেড স্টেট) এই ছবিটিও একটি স্টুডেন্টস প্রজেক্ট হিসেবে গণ্য হবে। ভ্যানকুভার ফিল্ম স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় এক ট্রান্সসেক্সুয়াল পারফর্মারের ওপর নির্মিত স্টুডেন্ট ডকুমেন্টারি যখন নির্মাণ শেষ করার আগেই ভেস্তে গেল, পরিচালক কেভিন ও তার কো-ডিরেক্টর স্কট নতুন একটি চিন্তা নিয়ে এলেন। ভিডিও ফুটেজগুলো নিয়ে তারা নতুন একটি তথ্যচিত্র বানালেন যেখানো দেখানো হলো তাদের মে ডে’র ডকুমেন্টারি নির্মাণ কেন ব্যর্থ হলো। ৮ বটল রকেট (১৯৯৪) পরিচালক ওয়েস অ্যান্ডারসন (দ্য রয়েল টেনেবাউন্স, দ্য ফ্যান্টাসটিক মিস্টার ফক্স, মুনরাইস কিংডম) পরিচালক ওয়েস অ্যান্ডারসন বটল রকেট নামে একটি কমেডি ধাঁচের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন যার অনেক ফুটেজ পরবর্তী সময়ে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছিল। তিন বন্ধুর ডাকাতির গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিটি পরিচালকের সঙ্গে যৌথভাবে লিখেছেন ছবিটির অন্যতম প্রধান অভিনেতা ওয়েন উইলসন। ৯ ডুডলবাগ (১৯৯৭) পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান (দ্য ডার্ক নাইট, ইনসেপশন, ইন্টারস্টেলার, ডানক্রিক) ‘ফলোয়িং’ দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণের আগে নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান ‘ডুডলবাগ’ নামের একটি শর্টফিল্ম দিয়ে হাত পাকিয়েছিলেন। পরাবাস্তব ঘরানার ছবিটিতে দেখানো হয়েছিল এক যুবকের একটি বদ্ধ কামরায় ডুডলবাগ (এক প্রকার তেলাপোকা বিশেষ) ধরার প্রয়াস। ১০ গাল্প (২০০১) পরিচালক জেসন রেইটম্যান (জুনো, আপ ইন দ্য এয়ার, ইয়ং অ্যাডাল্ট) পরিচালক হিসেবে জেসন রেইটম্যানের বিচিত্র দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছিল এ স্বল্পদৈর্ঘ্যটিতে। এক যুবক একদিন তার প্রিয় নোনাপানির মাছটিকে ভাসালেন স্বচ্ছ পানিতে। এরপর শুরু হলো মাছটিকে বাঁচানোর জন্য তার প্রাণান্তকর দৌড়ঝাঁপ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App