×

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমন

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৮, ০৮:১৭ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির প্রসিকিউশনের মামলায় বিমানের তিন কর্মকর্তাকে আগামী ১৭ জুন আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শুভ্রত ঘোষ শুভ বিমানের যন্ত্রপাতি সম্পর্কে তাচ্ছিল্যপূর্ণ মনোভাবের জন্য দণ্ডবিধির ২৮৭ ধারায় দাখিলকৃত প্রসিকিউশন আমলে নিয়ে এই সমন জারি করেন। এর আগে গত রবিবার পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম এ প্রসিকিউশন মামলা দায়ের করেন। ওই তিন আসামি হলেন, বিমানের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নাজমুল হক, জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর একই কর্মকর্তা এই ঘটনার মূল মামলা থেকে এই তিন আসামিসহ ১১ আসামিকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সঙ্গে দণ্ডবিধির ২৮৭ ধারায় তিন আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিলের অনুমতি চান। গত ৪ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানি শেষে ওই আবেদন গ্রহণ করেন। অব্যাহতি পাওয়া অপর আট আসামি হলেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রীর বুদাপেস্ট সফরের জন্য ঠিক করা হয়। আসামিরা বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কমকতা। তাদের ওপর এই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। আসামিরা ২৬ নভেম্বর ওই উড়োজাহাজটি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়োজাহাজটি ২৭ নভেম্বর সকাল ৯টা ১৪ ঘটিকায় শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উড়োজাহাজটি অনুমানিক দুই ঘণ্টা ২৮ মিনিট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়ার পর পাইলট ইঞ্জিনে তেল কমার লক্ষণ দেখতে পান। আর ৩০ মিনিট পর পাইলট ইঞ্জিনের তেলের চাপ আরও কমার লক্ষণ দেখতে পান। এরপর বাংলাদেশ সময় ১টা ৫৮ মিনিটে ইঞ্জিনে তেলের চাপ লিমিটের নিচে নেমে আসায় উড়োজাহাজটি নির্ধারিত গন্তব্যের আগেই তুর্কিমিনিস্থানের রাজধানীতে পাইলট অবতরণ করতে বাধ্য হন। এরপর বাম পাশের ইঞ্জিনের কাইরলং খোলা হলে ওয়েল প্রেসারের বি-নাট ঢিলা পাওয়া যায়। পরে তা মেরামত করে প্রধানমন্ত্রী ওই উড়োজাহাজেই বুদাপেস্ট যান। এই ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ ২৮ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই তদন্তে আসামিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং ব্যর্থতা উঠে আসে। এরপর ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App