খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৮, ০৫:২৬ পিএম
প্রধান দুই দলের প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ ভোটের আগে উত্তাপ ছড়ালেও খুলনা সিটি করপোরেশনে দলীয় প্রতীকে প্রথম নির্বাচন বড় ধরনের গোলযোগ ছাড়াই শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। এরপর কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয়েছে গণনা।
প্রায় ৫ লাখ ভোটারের এ সিটির ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের ভোট অনিয়মের কারণে স্থগিত হয়েছে হয়েছে জানিয়েছেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী।
এছাড়া আরও অন্তত সাতটি কেন্দ্রের-ভেতরে বাইরে গোলযোগ, অনিয়ম, এজেন্টদের বাধা ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, অর্ধেক ভোটকেন্দ্রেই নানা ধরনের অনিয়ম ঘটেছে, কেন্দ্রে ঢুকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর মার্কা নৌকায় সিল মেরে ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরা হয়েছে, ধানের শীষের প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে, সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি মারধরও করা হয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলেছে, পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে ‘শান্তিপূর্ণ ও অবাধ’ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করছে।
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, “দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবেই ভোট হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে, সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।”
চার ঘণ্টার ভোট শেষে বেলা ১২টা পর্যন্ত মোটামুটি ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে ধারণা দিয়েছিলেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুল কবীর।
তবে শেষ পর্যন্ত কত শতাংশ ভোট পড়ল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনও নির্বাচন কমিশন জানায়নি।
এক নজরে খুলনা সিটি নির্বাচন
>> ওয়ার্ড: সাধারণ ওয়ার্ড ৩১টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১০টি।
>> প্রতিদ্বন্দ্বী: মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন।
>> কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ: ২৮৯টি ভোট কেন্দ্র, তাতে ভোট কক্ষ ১৫৬১টি।
>> ভোটার: ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন ও মহিলা ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
>> ইভিএমে ভোট হয় দুই কেন্দ্রে। দুই কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন তিন হাজারের মত।
নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, বিকাল ৪টায় ভোট শেষ হলেও ওই সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন, তাদের সবাইকেই ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
গণনা শেষে পর্যায়ক্রমে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের কেন্দ্রভিত্তিক ফল জানানো হবে। একীভূত ফল ঘোষণা করা হবে বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সেখান থেকেই ফল ঘোষণা করবেন।
অবশ্য দুটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ায় ওই দুই কেন্দ্রের ফলই জানা যাবে সবার আগে।
এর মধ্যে সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৯৯ জন, আর পিটিআইয়ের জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৭৯জন।
জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, “ঠিক ৪ টায় ভোটগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক কিছু কাজ আছে। সেগুলো সেরে খুব স্বল্প সময়ে ইভিএমের ফলাফল দিতে পারব আশা করি।”