×

অর্থনীতি

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকে কার্যকর করারোপের দাবি

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০১৮, ০৯:৩৬ পিএম

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকে কার্যকর করারোপের দাবি
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর তামাকের ওপর করের কার্যকর করারোপের দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা। রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ দাবি জানিয়েছে তামাক বিরোধী এ জোট। বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম সস্তা এবং তা দিন দিন আরও সস্তা হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যমান তামাক কর-কাঠামো অত্যন্ত জটিল হওয়ায় কর ফাঁকির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং একইসঙ্গে তামাকপণ্যের ধরন ও ব্র্যান্ডভেদে ব্যাপক মূল্য পার্থক্য থাকায় ভোক্তা তুলনামূলক সস্তা ব্র্যান্ড/তামাকপণ্য ক্রয় করতে পারছে, যা তামাক করের কার্যকারিতা হ্রাস করছে। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর তামাক করের দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স। সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধি ছিলেন- বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী, মর্তুজা হায়দার লিটন, নাদিরা কিরন, মিজান চৌধুরী, দৌলত আক্তার মালা, মো. জসিম উদ্দিন, রহমত উল্লাহসহ অন্যরা। জোটের পক্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য তামাক-কর বিষয়ক বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয় এবং প্রস্তাবনার একটি কপি চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু তামাকপণ্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেহেতু এটি খেতে হলে কর দিয়েই খেতে হবে। তিনি আরও বলেন, এবছর সিগারেট, বিড়িসহ সব ধরনের তামাকপণ্যে যৌক্তিক হারে কর বাড়ানো হবে। তবে এক্ষেত্রে কমদামি সিগারেটের দাম না বাড়ানোর চাপও এনবিআরের ওপর আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তামাকপণ্যে করারোপের জন্য বাজেট প্রস্তাবে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ তুলে ধরা হয় : সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা দুইটিতে (নিম্ন এবং উচ্চ) নামিয়ে আনা : নিম্নস্তরের সিগারেটে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভাজন তুলে দেওয়া এবং উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরকে একত্রিত করে একটি মূল্যস্তরে (উচ্চস্তর) নিয়ে আসা; নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; সকল ক্ষেত্রে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটে ৫ টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা। ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করে প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ : বিড়ির ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বাতিল করা; প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক এবং ৬ টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা। ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস প্রথা বিলুপ্তকরণ : এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির ন্যায় খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ করা; প্রতি ২০ গ্রাম ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫% সম্পূরক শুল্ক এবং ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা। এ ছাড়া সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য থাকবে । উল্লিখিত প্রস্তাবসমূহ গ্রহণ করা হলে প্রায় ৬ দশমিক ৪২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে এবং সিগারেটের ব্যবহার ২ দশমিক ৭% ও বিড়ির ব্যবহার ২ দশমিক ৯% হ্রাস পাবে। এছাড়াও ৭৫ থেকে ১০০ বিলিয়ন টাকা (অথবা জিডিপি’র ০ দশমিক ৪ শতাংশ) অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App