রোজাকে ঘিরে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০১৮, ০২:০১ পিএম
আসন্ন রোজাকে সামনে রেখে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এ জন্য পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অন্যকে দুষছেন। তারা বলছেন, চাহিদার কোনো ঘাটতি নেই। বেশি মুনাফার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা বিক্রেতারা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য দাম বাড়িয়েছেন। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিশেষ একটি মহল অতিরিক্ত মুনাফার জন্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের মনিটরিংয়ের দুর্বলতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র জানায়, বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ প্রচুর। আমদানিও চাহিদার তুলনায় বেশি। বাণিজ্যমন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় আশ্বাস দিয়েছেন দাম না বাড়ার। তারপরেও রোজাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন। বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজ, ছোলাসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম। এ সময়ে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫-৮ টাকা। ছোলাও বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৬-১০ টাকা বেশি দরে।
এদিকে রমজান উপলক্ষে আগামী ৬ মে থেকে সারা দেশে ছোলা, চিনি, ডাল, খেজুর ও ভোজ্যতেল বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে কী পরিমাণ পণ্য মজুদ করা হয়েছে বা বাজারে ছাড়া হবে, কৌশলগত কারণেই তা আগেভাগে বলছে না টিসিবি। তাদের পণ্য মজুদের পরিমাণ আগে থেকে জানলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের পণ্য মজুদ রাখে। এতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থির করে তুলতে পারে। এদিকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত
সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এলাকাভেদে এখন কিনতে হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। পাবনা থেকে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় আসতে কেজিতে দাম পড়ছে ৩৭ টাকা করে। বিক্রি করছি ৩৮ টাকায়। এতে আমাদের খুব বেশি লাভ হচ্ছে না।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাজার করতে আসা মো. মাহফুজ আহমেদ বলেন, গত সপ্তাহে ৩০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা গেছে। অথচ এখন তা কিনতে হচ্ছে ৩৮ টাকায়। এদিকে কাওরান বাজারের শুক্কুর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী লাল মিয়া জানান, বাজারে ঘাটতি নেই, বরং সরবরাহ প্রচুর। তার দাবিÑ নিত্যপণ্যের বাজারে পাইকারি পর্যায়ে কোনো ধরনের কারসাজি নেই।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত ৯ মাসে রমজানের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের রেকর্ড পরিমাণ আমদানি হয়েছে। এর ফলে রমজানে ভোগ্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি কিংবা দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।