×

মুক্তচিন্তা

শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা ও সভ্যতার যাত্রা রক্ষা

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০১৮, ০৭:৪৪ পিএম

পৃথিবীতে এখনো কয়েকশ কোটি মানুষ রয়েছে যারা ৮ ঘণ্টার শ্রম আইন ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বেশ দূরে অবস্থান করছে, তাদের শিশুদের মুখে বেঁচে থাকার খাদ্য, পরার কাপড়, থাকার স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থানের নিশ্চয়তাই এখনো দূরের বিষয় অথচ পৃথিবীর অনেক দেশেই ১ মে পালিত হচ্ছে নানা প্রতিশ্রুতির কথা বলে, আবার আমাদের মতো কেবলই এক ছুটির কর্মদিবস ভোগ করে। এ এক আপাতবিরোধী বাস্তবতা!

আজ ১ মে। মহান মে দিবস বলে ইতিহাসখ্যাত। ১৯৭২ সাল থেকে আমরা দিনটি সরকারি ছুটি ভোগ করে আসছি। এক সময় সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে দিনটি শ্রমজীবী মানুষের উৎসবের মতো করে পালন করা হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতা লাভকারী অনেক দেশও মে দিবসটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল, সরকারি ছুটি দিয়েছিল। উন্নত পুঁজিবাদী দুনিয়ায় দিবসটি সরকারিভাবে ছুটি উদযাপন না করলেও এক ধরনের রাজনৈতিক গুরুত্বে পালিত হতে দেখা যায়। শ্রমিকদের লাল পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল, সভা-সমাবেশ করতে দেখা যায়। আমাদের দেশেও আজ দিবসটি ছুটির দিন হিসেবে যতটা ব্যক্তিগতভাবে আমরা ভোগ করব, দিবসটির ইতিহাস, এর তাৎপর্য খুব অল্পস্বল্প মানুষই জানার চেষ্টা করব, বাম কিছু ছোটখাটো সংগঠনকে কিছু গার্মেন্টস শ্রমিক জড়ো করে লাল পতাকার র‌্যালি করতে দেখব, কয়েকজন পরিচিত নেতার বক্তৃতার কিছু দৃশ্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভেসে উঠতে দেখব, বক্তৃতার দুচার লাইন তাতে উচ্চারিত হতেও শুনবো। আওয়ামী লীগ হয়তো কোনো আলোচনা সভা করবে, বিএনপিও তেমন কিছু করতে পারে। তবে সেসব সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গই প্রাধান্য পাবে, মহান মে দিবস ১৮৮৬ সালের দূরের বিষয় হিসেবেই ক্ষীণ আকারে উচ্চারিত হবে, ১৮৮৬-র মে দিবসের গভীরে গিয়ে দেখা ও বোঝার চেষ্টা কেউ করবে না- এটি আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি। এমন কি যে বাম সংগঠনগুলো লাল ঝান্ডা প্রদর্শন করে মিছিল-সমাবেশ করবে তাদের নেতারাও গৎবাঁধা কিছু শেখানো কথা (বুলি) ছাড়া মে দিবসের তাৎকালীন এবং বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় কীভাবে উপলব্ধি করা প্রয়োজন সেই অতীব দরকারি কাজটি করতে পারবে বলে বিশ্বাস করার ন্যূনতম কোনো বাস্তবতাই নিকট অতীতে যেহেতু দেখিনি, তাই এখনো দেখব বা শুনবো- তা বলতে পারছি না।

১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরে হে নামক মার্কেটের চত্বরে ৮ ঘণ্টা শ্রম দিবসের এবং ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবিতে যে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে হঠাৎ পুলিশের গুলিতে যে ৮ জন শ্রমিকের প্রাণ গেল, আরো কয়েকজন আহত হলো- তারা এবং তাদের সংগঠন কোনো সরকার উৎখাত বা বিপ্লব করতে যায়নি সত্য। তবে তারা ইতিহাসের প্রচলিত একটি অব্যবস্থার অবসান চেয়েছিলেন, পরবর্তী সময়ে নানা বিবেচনা ও উপলব্ধি থেকে শিকাগো শ্রমিক সংগঠনের দাবিটির প্রতিষ্ঠা পায়। এখন দৈনিক ৮ ঘণ্টার শ্রমকে বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী-অপুঁজিবাদী রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় যৌক্তিক এবং মানুষের অধিকারের বিষয় হিসেবেই স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। অথচ পুঁজিবাদের সূচনাকালেও (১৭-১৮শ শতকে) শিল্পকারখানায় শ্রমিকদের শ্রমঘণ্টার কোনো সর্বজন স্বীকৃত কোনো নিয়ম, বিধি বা আইন ছিল না। মালিকরা ইচ্ছেমতোই ছোট-বড় সব কারখানাতেই শ্রমিকদের শ্রম দিতে বাধ্য করত, মজুরিও তারাই নির্ধারণ করত। এই শ্রম কোথাও কোথাও ১০-১২ ঘণ্টা থেকে কখনো কখনো ১৬-১৮ ঘণ্টা বিরাজমান ছিল, যে মজুরি দেয়া হতো তা দিয়ে প্রায়শই শ্রমিকদের দৈনিকের চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় রুটি কেনা, থাকা বা চিকিৎসাসেবা নেয়া মোটেও সম্ভব ছিল না।

পুঁজিবাদের উত্থানের সেই যুগটি শ্রমজীবী মানুষের হাড়ভাঙা খাটুনির সময় ছিল। ইংল্যান্ডের অভিজাত শহরগুলোর একদিকে সুরম্য প্রাসাদ, অন্যদিকে সারি সারি অস্বাস্থ্যকর বস্তি যেন পুঁজিবাদী গ্রেট ব্রিটেনকেই পরিহাস করছিল। এটি ইউরোপের বা মার্কিন মুল্লুকের অন্যান্য দেশেও ছিল। পুঁজিবাদের উত্থানের সেই পর্ব ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ বণিকতন্ত্র, ধনতন্ত্র তথা পুঁজিবাদ শ্রমজীবী মানুষের এমন কঠিন ত্যাগের ভেতর দিয়েই এগিয়েছিল। মালিকপক্ষ নিজেদের ভোগবিলাস সহনীয় পর্যায়ে রেখে প্রতিষ্ঠান ও অর্থব্যবস্থাকে গতিশীল রাখার শৃঙ্খলায় থাকলে বা নিয়ম-কানুন মেনে চললে, শ্রমিকদের জীবনকে মূল্যবান মনে করে মজুরি নির্ধারণ করলে হয়তো ইতিহাস অন্য রকমের হতো। কিন্তু কোনো উদীয়মান সমাজের উদীয়মান ধনিকগোষ্ঠীই যাদের শ্রমে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছিল তাদের জীবন রক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি, অতিরিক্ত শোষণ করাকে নীতিনৈতিকতার দিক থেকে অসমর্থনযোগ্য বলে ভাবেনি। কেননা চারপাশে তখন শ্রম দিতে সক্ষম মানুষের ছড়াছড়ি, যন্ত্র প্রযুক্তিতে অদক্ষ মানুষও বেঁচে থাকার প্রয়োজন থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিল্পকলকারখানায় কাজ করতে লাইনে দাঁড়িয়েছে, কাজ পেলেই বেঁচে যাওয়ার উপায় হাতের মুঠোয় পেয়ে যেত। ইতিহাস তো এমনই ছিল। ফলে অশ্রমিক মানুষটি জীবন বাঁচাতেই শ্রমিক হতে কারখানায় ঢুকেছিল, গ্রামে তার জমি ছিল না, থাকলেও সামন্ত জমিদারদের খাজনায় অতিষ্ঠ হয়ে ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়, রেখে আসে পরিবারের সদস্যদের- যারা রুটির জন্য তখন অপেক্ষায় থাকত শহরে যাওয়া বাবার পাঠানো কিছু নগদ অর্থের ওপর। সেই জীবন ইউরোপেও ষোড়শ-সপ্তদশ-অষ্টাদশ-উনিশ শতকে ছিল। সামন্তবাদ ছিল জমিদারদের, রাজাদের ভোগবিলাসের সমাজ ব্যবস্থা। সেই তুলনায় পুঁজিবাদ সম্পদ সৃষ্টির কঠিন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়েই গেছে। উনিশ শতকে পুঁজিবাদ ইউরোপ-আমেরিকা মহাদেশে দ্রুত বিকাশমান আর্থ-ব্যবস্থা হিসেবে দৃশ্যমান হলেও কলে-কারখানায় শ্রমিকদের বেঁচে থাকার ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করেনি, শ্রমঘণ্টাতেও কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলার বিধান করেনি। একজন শ্রমিক একনাগাড়ে কত ঘণ্টা পরিশ্রম করলে, মোটামুটি বেঁচে থাকার মজুরি পাওয়া উচিত- তা তখনো পর্যন্ত পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা, সরকারগুলো তখনো নির্ধারণ করেনি। অথচ শ্রমিকরা এসব দাবি করে আসছিল, তাদের ট্রেড ইউনিয়নগুলোও মালিকপক্ষ, সরকারপক্ষের কাছে তুলে ধরছিল। কিন্তু সবকিছুই উপেক্ষিত হচ্ছিল। তবে শ্রমিকদের অব্যাহত দাবি ও চাপের কারণে উনিশ শতকের মাঝামাঝি ইউরোপে বড় বড় কারখানাগুলোতে শ্রমঘণ্টা ১০-১১ ঘণ্টায় আসে, মজুরিও কিছুটা সহনশীল হতে থাকে। তবে ছোট ছোট কারখানায় মালিকপক্ষ সবকিছুই অগ্রাহ্য করে চলছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পরিস্থিতি অনেকটা তাই ছিল।

তেমন পরিস্থিতিতেই মার্কিন দেশের শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নগুলো সত্তর-আশির দশকের শুরুতে শ্রমঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নির্ধারণ এবং ন্যূনতম বেঁচে থাকার মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। শ্রমিক সংগঠনগুলোর এসব দাবি শ্রমিকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিক সমাবেশটি ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত, শ্রমিকরা দলবেঁধে সমাবেশে যোগদান করছিল। সেই সময়েই মিছিলে গুলিতে এমন হতাহত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এভাবে এত সংখ্যক শ্রমিকের প্রাণ কেড়ে নিল পুলিশ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য তা হতবাক করেছিল সবাইকেই। এর প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষের মধ্যেও পড়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যত্রও পড়েছিল, আটলান্টিকের এ পাড়ে ইউরোপেও পৌঁছে যায় অল্প কয়েক দিনের মধ্যে। ততদিনে কার্ল মার্কস পরকালে চলে গেছেন। ইউরোপে তখন কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল শ্রমিক আন্দোলনের ইস্যুগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছিল। এঙ্গেলস শিকাগোর শ্রমিক হত্যার বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক এই সংস্থায় গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরলেন। সেই থেকে মে দিবস প্রথমে প্রথম কমিনটার্ন, কমিউনিস্ট ও সমাজতান্ত্রিক দলগুলো শুধু শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থেই নয়, মানব মুক্তির একটি বিশেষ প্রেরণার বিষয় হিসেবে প্রচার শুরু করে। লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে প্রথম রাষ্ট্র যেটি সবার আগে ১৯১৫ সালে ৮ ঘণ্টার শ্রমপ্রথা আইন প্রবর্তন করে, ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের পর সোভিয়েত রাশিয়ায় ৮ ঘণ্টার শ্রমনীতি ঘোষিত হয়। দ্বিতীয় দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন। এরপর পুঁজিবাদী দুনিয়াও পিছিয়ে থাকেনি। বিশ শতকের মাঝামাঝি কর্মক্ষেত্রে ৮ ঘণ্টা কাজের নীতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিষয়ে পরিণত হয়ে পড়ে। বিষয়টি শুধু শ্রমিক শ্রেণির দাবিতে থাকেনি। কর্মজীবী যে কোনো মানুষের অফিস কর্ম ৮ ঘণ্টার বেশি ভাবার ধারণা উঠে যেতে থাকে। একই সঙ্গে কর্মীজীবীদের বেতন স্কেল, শ্রম আইন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য সেবা, কর্মক্ষেত্র পরিবেশ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শ্রমজীবী মানুষের কর্ম ও জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য বিশ শতকের বিশ্ববাস্তবতা আগেকার সব ঐতিহাসিক বাস্তবতারই পরিবর্তন ঘটিয়েছে, পুঁজিবাদই চরিত্রগতভাবে পুরোপুরি না পাল্টালেও মানব উন্নয়ন কেন্দ্রিক অনেক ধারণাই গ্রহণ করেছে- যা পুঁজিবাদকে বিকশিত হতে সাহায্য করেছে। অন্যদিকে শ্রমিক শ্রেণির সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা মানব মুক্তির অনেক ধারণার প্রবর্তন করেও শেষ পর্যন্ত কিউবা ব্যতীত প্রায় সবাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এর মানে কিন্তু পুঁজিবাদ সমাজতন্ত্রের সামাজিক সংস্কারসমূহ গ্রহণ করে ফেলেছে- এমন সরলিকরণ ভাবা ঠিক হবে না। তবে বর্তমান একুশ শতকের বাস্তবতায় মে দিবসের গুরুত্বকে কীভাবে দেখা প্রয়োজন- সেটি নতুন বিশ্বব্যবস্থায় না ভাবলে, সেভাবে চাহিদা পূরণ করা না হলে দিনটি সরকারি ছুটি পালনের দিবস হিসেবে বাংলাদেশ ভোগ করতে পারে, কিন্তু বর্তমান মানব সভ্যতার বিকাশে এমন মাইলফলক ঘটনার মূল কথা খুব একটা উপলব্ধিতে আসবে না। প্রয়োজন ৮ ঘণ্টার শ্রম দিবসকে কীভাবে সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতার কল্যাণে, বিকাশে আরো ফলপ্রসূ করা যায়, সব শ্রমজীবী মানুষের জীবনে শ্রম, বিশ্রাম, কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্য সেবাসহ প্রাসঙ্গিক সব সুযোগ-সুবিধাকে নিশ্চিত করা যায়। আমাদের দেশে এখনো প্রকৃত শ্রমজীবী মানুষজন ৮ ঘণ্টার কর্মদিবসের সুযোগ অধিকার হিসেবে লাভ করতে পারেনি। সরকারি অফিস-আদালতের কর্মজীবীরা সরাসরি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত নয়, অথচ তারাই এর সুবিধা বেশি ভোগ করেন, কিন্তু কলকারখানার প্রকৃত শ্রমজীবীরা পুরোপুরি এই অধিকার লাভ করেছেন- এমনটি দাবি করা কঠিন। কোথাও ৮ ঘণ্টার শ্রম দিবস থাকলেও বেতনভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারেনি। বৈষম্য কর্মস্থল, বেতনভাতা, অধিকার ইত্যাদিতেই নয়, চিন্তা-চেতনাতেও রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এখনো শ্রম ও মজুরি তথা বেতনভাতা নিয়ে চলছে নানা ওজরাপত্তি। অথচ শ্রমজীবী মানুষের কর্মঘণ্টার সঙ্গে তার স্বাস্থ্যই শুধু নয়, তার জীবনযাত্রাও গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। শ্রমজীবীদের নিয়ে আমাদের মতো দেশগুলোতে যেমন রয়েছে নানা বৈষম্য ও অসচেতনতা, অর্থনৈতিকভাবে ধনী অনেক দেশে রয়েছে মানবাধিকার বাস্তবায়নে নানা সংকট। সে সব সংকট কবে দেশগুলোতে দূর করা হবে- সেটি মস্তবড় প্রশ্ন। অথচ সে সব দেশে সম্পদের অপচয় হচ্ছে যথেচ্ছভাবে, শাসকগোষ্ঠী ভোগ করছে বেহিসেবি জীবন- যা কোনো অবস্থাতেই সভ্যতার মানদণ্ডে সমর্থনযোগ্য নয়। পৃথিবীতে এখনো কয়েকশ কোটি মানুষ রয়েছে যারা ৮ ঘণ্টার শ্রম আইন ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বেশ দূরে অবস্থান করছে, তাদের শিশুদের মুখে বেঁচে থাকার খাদ্য, পরার কাপড়, থাকার স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থানের নিশ্চয়তাই এখনো দূরের বিষয় অথচ পৃথিবীর অনেক দেশেই ১ মে পালিত হচ্ছে নানা প্রতিশ্রুতির কথা বলে, আবার আমাদের মতো কেবলই এক ছুটির কর্মদিবস ভোগ করে। এ এক আপাতবিরোধী বাস্তবতা! বেশির ভাগ মানুষই ১ মে’র মর্মবাণী জানার বাইরে থেকে গেছে, অথচ একদিনের ছুটি ভোগ করছে। প্রয়োজন এর যথাযথ তাৎপর্য তুলে ধরা।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App