×

আন্তর্জাতিক

পেরুতে পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘শিশুবলি’র গণকবর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০১৮, ০৬:৪০ পিএম

পেরুতে পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘শিশুবলি’র গণকবর

পেরুর উত্তরের উপকূল এলাকায় সাড়ে ৫শ’ বছর আগে বলি বা উৎসর্গ করা শিশুদের বিশাল এক গণকবর খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের শিশুবলির ঘটনার নিদর্শন এটি।

জানা গেছে, ত্রুজিল্লো’র কাছে দেহাবশেষগুলো আবিষ্কার হয়েছে। এক সময় এই এলাকা প্রাচীন চিমু সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ওই সময়ে সেখানে ১৪০টিরও বেশি শিশুকে বলি দেয়া হয়। মানবশিশু ছাড়াও তাদের সঙ্গে দুই শতাধিক লামা শাবকের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে সেই গণকবরে। লামাগুলোকে মানবশিশুদের সঙ্গেই উৎসর্গ করা হয়েছিল বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

২০১১ সালে হুয়ানচাকুইতো-লাস লামাস নামে পরিচিত এলাকাটিতে সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরনো একটি মন্দির খননকালে প্রথম ৪০ জন মানুষ এবং ৭৪টি লামার দেহাবশেষ খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকরা। এভাবে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ১৪০ জন মানুষের মৃতদেহ পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে খননকাজ ও গবেষণায় নিয়োজিত দলটি।

লাশগুলো ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সের শিশু-কিশোরদের। তবে বেশিরভাগেরই বয়স ৮ থেকে ১২ বছরের মধ্যে বলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। দেহাবশেষগুলোর হাড় কাটা দেখে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে শিশুগুলো নরবলির শিকার হয়েছে। তাদের স্টার্নামের মাঝেও (পাঁজরের মাঝখানে ওপরের হাড়) কাটা রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু মরদেহের পাঁজরের হাড় ভাঙা, যা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের পাঁজর হৃদপিণ্ড বের করে নেয়া হয়েছিল।

বেশ কয়েকটি মৃতদেহে সিঁদুরের মতো উজ্জ্বল লাল রঙের পদার্থের নমুনা পাওয়া গেছে। এগুলো বলি অনুষ্ঠানের অংশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়টিতে ‘এল নিনো’র মতো চরম বৈরি আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছিল অঞ্চলটিতে। যার ফলে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত ও বন্যা দেখা দিয়েছিল। খননের সময় মাটির এই স্তর পরীক্ষা করে গবেষকরা মনে করছেন, এই তীব্র প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে এত বড় মাপের বলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিবিসি ও সিএনএন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App