শ্রদ্ধায়-স্মরণে লাকী আখন্দ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০১৮, ০১:৫৮ পিএম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী লাকী আখন্দ। অসংখ্য কালজয়ী গানের সুর তৈরি করেছেন, গেয়েছেনও। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার গান প্রেরণা জুগিয়েছে, সাহস জুগিয়েছে, নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশেও সুরের মূর্ছনা ছড়িয়েছেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিচ্যুত হননি আদর্শ থেকে, নিজের বিশ্বাস থেকে। এই শিল্পী যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তখন তাকে দেখতে গিয়েছিলেন কাছের মানুষজন। কেউ কেউ তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করবেন বলেও জানান, তখন লাকী তাদের বলেছিলেন, ‘এখন ৫ লাখ টাকা আমার কাছে আছে। বাকিটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ওই সময় কুমার বিশ্বজিতসহ অন্যরা জানান যে, তিনি চাইলে শিল্পীসমাজ তার পাশে দাঁড়াবে, তাকে সহযোগিতা করবে।’ এর জবাবে লাকী বলেন, ‘তোমরা এমন কিছু করো না যাতে শিল্পীদের অবমূল্যায়ন হয়, শিল্পীর সম্মান নষ্ট হয়। শিল্পীর মর্যাদা অনেক বেশি। আমার জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলো।’ এমনই ছিল লাকী আখান্দের আত্মসম্মানবোধ। লাকীর জন্য সাহায্য চাইতে হয়নি। সরকার নিজে থেকেই তার পাশে ছিলেন। আরও অনেকেই ভালোবাসা নিয়ে পাশে ছিলেন লাকীর। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল চিরনিদ্রায় শায়িত হন লাকী আখন্দ। আজ শনিবার তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটিকে স্মরণ করে পারিবারিকভাবে রয়েছে কিছু আয়োজন। লাকী আখন্দের বর্ণাঢ্য সঙ্গীত জীবনে অসংখ্য কালজয়ী গান সৃষ্টি করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছেÑ আমায় ডেকো না, এই নীল মনিহার, কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে, যেখানে সীমান্ত তোমার, মা মনিয়া, লিখতে পারি না কোনো গান, ভালোবেসে চলে যেও না, বিতৃষ্ণা জীবনে আমার, কি করে বললে তুমি, এত দূরে যে চলে গেছ প্রভৃতি।