×

জাতীয়

চট্টগ্রামে অবহিতকরণ সভায় বক্তারা মাতৃদুগ্ধ বিকল্প ও শিশুখাদ্য আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০১৮, ০৮:৫৭ পিএম

মাতৃদুগ্ধ বিকল্প ও শিশুখাদ্য আইন অনুযায়ী গুঁড়োদুধ, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে তৈরি শিশুর বাড়তি খাদ্য বা ব্যবহারের সরঞ্জামের কারণে কোনো শিশু অসুস্থ বা মারা গেলে কোম্পানিকে ১০ বছর কারাদন্ড বা ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অথদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। এছাড়া কোনো স্বাস্থ্যপেশাজীবী বা কোনো ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করলে তিন বছর কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। মাতৃদুগ্ধ বিকল্প ও শিশুখাদ্য আইন সম্পর্কে ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে পেশাজীবীদের সহযোগিতা দরকার। সুস্থ মেধাবী জাতি গঠন করতে হলে এ আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি। গতকাল সোমবার সকালে নগরীর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে এ সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এএম মুজিবুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আলম, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ, সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক নাজনিন কে চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। তারা বলেন, জন্মের এক ঘণ্টা পর শিশুকে শাল দুধ এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধই খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের পর মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি খাবার দিতে হবে। দুই বছর পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর জন্মের পর মায়ের দুধ খাওয়ার সংযোগ ও অবস্থান ঠিক করে দেওয়ার পরও ৭২ ঘণ্টা মায়ের দুধ খেতে না পাওয়া, শিশুর মা মারা গেলে বা অন্য মায়ের দুধ খাওয়ানো সম্ভব না হলে, শিশুর জীবনরক্ষা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে অপরিহার্য হয়ে পড়লে নিবন্ধিত মেডিকেল চিকিৎসক উপযুক্ত প্রমাণাদির ভিত্তিতে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প খাদ্যের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবেন। মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা শিশুর বাড়তি খাদ্য ও ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘনের প্রবণতায় উদ্বেগ জানিয়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মা, প্রসূতি, ডাক্তার, সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা। আইন, বিধি ও সা¤প্রতিক পরিস্থিতির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিবিএফ’র বিভাগীয় কর্মকর্তা গাজী মো. শাহীন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App