×

মুক্তচিন্তা

শিখরে না অতলে কী বেছে নেবে?

Icon

মুক্তচিন্তা কলাম লেখক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০১৮, ০৯:২৮ পিএম

শিখরে না অতলে কী বেছে নেবে?
শিখরে না অতলে কী বেছে নেবে?
শিখরে না অতলে কী বেছে নেবে?
শিখরে না অতলে কী বেছে নেবে?

বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে জঙ্গিবাদের সঙ্গে যেতে পারবে না- এমনটা একেবারেই নিশ্চিত। আর জঙ্গিবাদকে ঠেকাতে হলে দুর্নীতিকে পরাহত করতে হবে। জঙ্গিবাদকে এক ধরনের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতিতে ডুবে থাকা মানুষগুলো হয়তো বুঝতেই পারছে না তারা কীভাবে জঙ্গিবাদকে সাহায্য করছে। কিন্তু তা-ই হচ্ছে বাস্তবে।

আমি আমার বেশ কটি লেখায় লিখেছি- অসম্ভবের দেশ বাংলাদেশ, সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে অনেক দূর। আবার পিছিয়ে যেতে পারে অনেক দূর। অর্থাৎ বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা এবং পেছনে চলে যাওয়ার রাস্তা দুটোই খোলা আছে। এমন সৌভাগ্য অনেক দেশের কপালেই জোটে না। কোনো দেশ শত চেষ্টা করেও একটুও সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের ঠিক উল্টো অবস্থা। চাইলেই সে অনেক দূর যেতে পারে। এই ধারণাটি যে সত্য তা প্রমাণ করতে আমি যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টের সারমর্ম তুলে ধরছি। প্রাইস ওয়াটার কুপারস বা পিডব্লিউসি একটি খ্যাতিসম্পন্ন যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। এ বছর তারা গবেষণা রিপোর্টে তিনটি দেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্ভাবনাময় বলে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে। বলাই বাহুল্য, এই তিনটি দেশের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। বাকি দুটি দেশ ভারত ও ভিয়েতনাম। তারা বলতে চেয়েছে, ২০৫০ সালে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশ, ভারত এবং ভিয়েতনামের। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উজ্জ¦ল সম্ভাবনার কথা বেশ কয়েক বছর ধরেই নানাভাবে উঠে আসছে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে। সেই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ যোগ হলো পিডব্লিউসির গবেষণার রিপোর্টটি। তারা বলেছে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশ ২০৫০ সালে হবে বিশ্বের ২৩তম বড় অর্থনীতির দেশ। পিডব্লিউসি প্রকাশিত ‘২০৫০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ যেভাবে বদলাবে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তাদের ধারণা- বাংলাদেশ, ভারত এবং ভিয়েতনাম এই তিনটি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় আগামী ৩৩ বছরে ৫ শতাংশের বেশি হবে। একটি দেশের অর্থনীতি কতটা বড় ও শক্তিশালী সেটি নির্ধারণে সর্বস্বীকৃতভাবে দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি হলো পিপিসি অর্থাৎ ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে জিডিপির আকার এবং অন্যটি হলো এমইআর অর্থাৎ বাজার বিনিময় হারের ভিত্তিতে জিডিপির আকার। দুই হিসাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নতির চিত্র উঠে এসেছে পিডব্লিউসির  গবেষণায়। পিডব্লিউসি বলেছে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে পিপিসির ভিত্তিতে ৩১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। এই হিসাবে ২০৩০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ২৮ এবং ২০৫০ সালে হবে ২৩। তারা আরো বলেছে, এমইআর ভিত্তিতে ২০৫০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে। আগামী ৩৩ বছরে বিশ্বের যেসব দেশ ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে তাদের ৩২টি দেশ নিয়ে পিডব্লিউসি এই গবেষণা রিপোর্টটি তৈরি করেছিল।

তারা আরো বলেছে, আগামী ৩৩ বছরে অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় দেশ হিসেবে চীনের অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে। পিপিপির হিসাবে এখনই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন ২০৩০ সালে এমইআরের হিসাবেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে চীন। ২০৫০ সালে পিপিপির হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র্রকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় বড় অর্থনীতির দেশ হবে ভারত। তাদের রিপোর্ট আরো বলেছে, আগামী ৩৩ বছরে ‘জি সেভেনভুক্ত’ সাতটি দেশের হাত থেকে ‘ইমার্জিং সেভেনভুক্ত’ সাতটি দেশের হাতে চলে আসবে অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ইমার্জিং সেভেনভুক্ত সাতটি দেশ হলো চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, রাশিয়া, মেক্সিকো ও তুরস্ক। আর জি সেভেনভুক্ত সাতটি দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, কানাডা ও ইতালি। পিডব্লিউসি আরো উল্লেখ করেছে, আগামী ৩৩ বছরে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিশ্ব অর্থনীতির ভরকেন্দ্র এশিয়ায় চলে আসবে।

বাংলাদেশ নিয়ে এমন আশার বাণী নতুন নয়। প্রায়ই উঠে আসে এমন সম্ভবনার কথা। তবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নির্ভর করবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে- তা তো সবাই বলছে। আর এমন বলা মানে কাগজে-কলমে বলা। এমন বলা মানে গবেষণায় উঠে আসা তথ্যাদির বলা। তবে এমন বলাটা তখনই সত্যি হয়ে ওঠে, যখন বাস্তবের সঙ্গে গবেষণার সম্ভাবনার ধাপগুলো একাকার হয়ে যায়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রমাণ দিয়েছে- তারা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসম্ভবকে জয় করেছে। প্রবৃদ্ধির হার, বিভিন্ন সামাজিক আর অর্থনীতির সূচকের হার এমনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সুন্দর স্বপ্ন দেখার বিষয়টি এখন আর নিছক স্বপ্ন নয়; বরং সত্যির ওপর দাঁড়ানো শক্ত অবস্থান। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছে। জাতিসংঘ, বিশ্ব গবেষণা সংস্থাগুলো এবং দাতা দেশগুলো এবার ঘুরে দেখছে বাংলাদেশকে নতুন করে। যারা একদিন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিল, সেই যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের প্রতি আর হেলাফেলা করে তাকাতে পারছে না। ভৌগোলিক কারণেও বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে বিশ্ববাজারে। প্রতিবেশী চীন এবং ভারত যেহেতু খুব শিগগিরই বিশ্বের অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার বনে যাওয়ার পথে এগোচ্ছে, তাই দুজনেরই একদম বর্ডারে অবস্থিত বাংলাদেশের দিকে নতুন নজরে তাকাচ্ছে বিশ্বের প্রতিদ্ব›দ্বী অন্য সুপার পাওয়ার রাষ্ট্রগুলো। বিশেষ করে চীন এবং ভারতের টানাপড়েনের মাঝখানে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব দিক থেকেই বংলাদেশের ভবিষ্যৎ জাগরণের পথটি অত্যন্ত উজ্জ্বল।

তবে মুদ্রার অন্য একটি পাশও আছে। মুদ্রার একপাশে যেমন এগিয়ে যাওয়ার সমস্ত সুযোগ আছে, আবার মুদ্রার অন্য পাশে বিপদের আশঙ্কাও আছে। বাংলাদেশকে হয়তো সোজা পথে পিছিয়ে নিতে পারবে না কেউ। কিন্তু বাঁকা পথে সে সুযোগ হয়তো রয়ে যাবে। বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাক- এমনটা যারা সহ্য করতে পারবে না, তারা হয়তো সামনে এসে কিছুই করতে পারবে না। তবে পেছন থেকে চাকু মারার সুযোগটি তারা নিতে পারে। আর পেছনের সেই কালো একটি সুযোগ বাংলাদেশের জন্য চাঁদের কলঙ্কের মতো সঙ্গে রয়েছে- তা যেমন বাংলাদেশ জানে, তেমনি বাংলাদেশের শত্রুরাও জানে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেয়ার সবচেয়ে বড় অস্ত্র জঙ্গিবাদ। বাংলাদেশ চেষ্টা করেও এই তথাকথিত জঙ্গিবাদের হাত থেকে মুক্ত হতে পারছে না। এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে বাংলাদেশের আর একটি কলঙ্কের জায়গা হলো দুর্নীতি। জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতি এই দুই অভিশাপ বাংলাদেশের সব অর্জন নস্যাৎ করে দিতে পারে- এমন আশঙ্কা বাংলাদেশ থেকে মুছে দেয়া যাচ্ছে না। বর্তমান সরকার জঙ্গি ঠেকাতে পরিশ্রম করছে অনেক। একেবারেই শূন্য টলারেন্স নীতি গ্রহণ করছে জঙ্গিবাদের ব্যাপারে কিন্তু বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে পারছে না জঙ্গিবাদকে। এর একটি বড় কারণ, রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত। বর্তমান সরকার ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে গোড়ায় ভুল করে বসেছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রেখে ইসলামি জঙ্গিবাদ ঠেকাতে গিয়ে সরকার তার গৃহীত নীতির বিরুদ্ধেই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ধর্মীয় আর মৌলবাদী রাজনীতিকে তারা একদিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, আবার অন্যদিকে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে খুঁজে বেড়াচ্ছে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের। জামায়াত আর বিএনপিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিকভাবে ভুল পথের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল একসময়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে বজায় রেখে তারা অতি ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ভোটের সমর্থনের পথ খুঁজতে গিয়ে মাঝপথে এসে খেই হারিয়ে ফেলেছে। ভোটের সমর্থনে তারা তেমন এগোতে না পারলেও তাদের নমনীয় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সুযোগে মৌলবাদী রাজনীতি শাখা-প্রশাখা বিস্তারের সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। সরকার অর্থনীতির উন্নয়নের পথে দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে তারা তেমন সুফল ঘরে তুলতে পারছে না। এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা তেমন করে আগে ভাবতে পারেনি। মৌলবাদী জনগোষ্ঠী তাদের পতাকাতলে ভোটের ভাণ্ডার নিয়ে আসেনি। বরং নমনীয় রাজনীতির সুযোগে মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশে জঙ্গিবাদকে ছড়িয়ে দিতে অধিক সুযোগ পেয়েছে।

এমন একটি রাজনৈতিক বাতাসে বাংলাদেশ কতখানি সামনে এগিয়ে যেতে পারবে কিংবা কতটুকু পিছিয়ে যাবে তা-ই আজ সবচেয়ে বেশি করে দেখার বিষয়। জঙ্গিবাদ দিয়ে বাংলাদেশকে চুরমার করে দেয়া যাবে; আর সেখানে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। যদি বাংলাদেশ জঙ্গিবাদকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে তবে সামনের বাংলাদেশকে কোনোভাবেই উন্নয়নের চ‚ড়া থেকে সরিয়ে দেয়া যাবে না। এমনটাই গত দশকে প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ। এমনটাই গবেষণার ফলাফলে বেরিয়ে এসেছে। তাই বাংলাদেশকেই আজ ভেবে দেখতে হবে এবং কঠিন হাতে তাকে সঞ্চালন করতে হবে।

বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে জঙ্গিবাদের সঙ্গে যেতে পারবে না- এমনটা একেবারেই নিশ্চিত। আর জঙ্গিবাদকে ঠেকাতে হলে দুর্নীতিকে পরাহত করতে হবে। জঙ্গিবাদকে এক ধরনের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতিতে ডুবে থাকা মানুষগুলো হয়তো বুঝতেই পারছে না তারা কীভাবে জঙ্গিবাদকে সাহায্য করছে। কিন্তু তা-ই হচ্ছে বাস্তবে। জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে দুর্নীতিবাজরা পিছিয়ে পড়ছে। নিজের স্বার্থের বাইরে যেতে পারছে না দুর্নীতিবাজ আমলা আর রাজনীতিবিদরা। আর সেই পথে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকরা অবৈধ অর্থের পথে জঙ্গিবাদের রাস্তা খোলা রাখার সাহায্য পাচ্ছে। অধ্যাপক আবুল বারকাত তার বই ‘বাংলাদেশে মৌলবাদ : জঙ্গিবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতির অন্দর-বাহির’-এ উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের হিসাবে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির মোট সম্পদ ৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। আর এসব সম্পদ থেকে বার্ষিক আয় হয় ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। মৌলবাদের হাতে থাকা এই বিশাল সম্পদ জঙ্গিবাদের সঞ্চালনে বিভিন্ন পন্থায় কাজে লাগছে। এই পন্থার অন্যতম মাধ্যমের নামে নানা ছলে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ আর আমলাদের অবৈধ অর্থের জোগান দিচ্ছে মৌলবাদীরা। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ এবং আমলারা না বুঝে শুধু নিজেদের অবৈধ আর্থিক স্বার্থের কাছে পরাজিত হয়ে সাহায্য করে যাচ্ছে মৌলবাদীদের জঙ্গিবাদের প্রসারে।

বাংলাদেশকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাংলাদেশকে একটি পথ খুঁজে নিতে হবে। আগামী দিনের সোনালি স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে, না বাংলাদেশকে অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে সুযোগ করে দেবে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের; এই সিদ্ধান্ত রাজনীতির; এই সিদ্ধান্ত সরকারের; এই সিদ্ধান্ত সব বাংলাদেশীর। যদি সামনে এগিয়ে যেতে হয়, তবে সবার আগে দুর্নীতিকে সহনীয় অবস্থায় আনতে হবে। এমনটা সম্ভব হলেই যুদ্ধ ঘোষণা করা যাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এমনটা সম্ভব হলেই আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্ব দেখবে নতুন এক উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে।

মেজর (অব.) সুধীর সাহা: কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App