×

বিনোদন

নাট্যশালায় আজ ‘টুয়েলভ অ্যাংরি ম্যান’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০১৮, ০৩:১৭ পিএম

নাট্যশালায় আজ ‘টুয়েলভ অ্যাংরি ম্যান’
তারুণ্যনির্ভর নতুন নাট্যদল ‘ওপেন স্পেস থিয়েটার’-এর প্রথম নাট্য প্রযোজনা ‘টুয়েলভ অ্যাংরি ম্যান’। গেল বছরের ১৮ মে এই নাটকটি মঞ্চায়নের মাধ্যমে ঢাকার নাট্যাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করে ‘ওপেন স্পেস’। এরই মধ্যে নাটকটি দর্শকের মাঝে দারুণ সাড়া জাগিয়েছে। আজ ৩১ মার্চ, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি। রেজিনাল্ড রোজের লেখা ‘টুয়েলভ অ্যাংরি ম্যান’ মূলত ১৯৫৭ সালে নির্মিত মার্কিন চলচ্চিত্র যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। ঢাকার মঞ্চে এটি নির্দেশনা দিয়েছেন এম আরিফুর রহমান। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন কাজী আরিফুর রহমান, মেহেদী হাসান, এস এম মুসাব্বীর তানিম, সৈয়দ এজাজ আহমেদ, রায়হান, আহমেদ দীপ, আবু হাসান মাহি, ওয়ালিদ আদনান, এম আরিফুর রহমান, সীমান্ত হক, শরিফ এম তারিক, মো. নাজমুল হোসেন, ফাইরুজ আলম, আনিসুর রহমান রাব্বী। ওপেন স্পেস থিয়েটার দলটি গড়ে তোলার মূল কান্ডারি মেহজাবিন চৌধুরী জানান, ‘নতুন এই দলটি নাট্যাঙ্গনে নতুন কিছু কাজ করবে বলেই যাত্রা শুরু করেছে। এই দলের বেশিরভাগ সদস্য এক সময় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামাক্লাবে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত। পাশাপাশি থিয়েটার করছেন। সামনে আরো নতুন ভাবনা নিয়ে হাজির হবে ওপেন স্পেস।’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, একটি খুনের বিচারের চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার জন্য এক টেবিলে বসেছেন ১২ জন জুরি। একজন অপরাধী সত্যিই নিজ বাবার খুনের অপরাধ করেছে কিনা তা যুক্তি সঙ্গত সন্দেহের মাধ্যমে ১২ জন জুরির বিশ্লেষণ চলে নাটক জুড়ে। কারো পকেটে সন্ধ্যার সার্কাস শোর টিকেট, কারো অন্য কাজের তাড়া, কারো বা আজন্ম ঘৃণা বস্তির মানুষের প্রতি, কারো বা বিশেষ কোনো মতই নেই নিজের! নানা পেশার, নানা বয়সের এমন বিচিত্র চরিত্রের ১২ জন মানুষ বিচার করতে বসেছেন বস্তিতে বেড়ে ওঠা এক উনিশ বছরের বালকের। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তার বাবাকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে। প্রাথমিকভাবে সবাই একবাক্যে ছেলেটিকে দোষী সাব্যস্ত করে চ‚ড়ান্ত রায় দিতে প্রস্তুত, বাদ সাধলেন একজন জুরি। ১২ জন জুরির মাঝে ১১ জনই প্রাথমিকভাবে অপরাধীর অপরাধ নির্ণয় করে রায় দেন যে ছেলেটি দোষী। কিন্তু একজন জুরি জানান যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের অবকাশ হয়তো আছে, তাই তিনি আলোচনার আহবান জানান। আলোচনা চলতে থাকে যুক্তির নিরিখে। যুক্তির খেলায় টলে যান কেউ কেউ। মতানৈক্য বাড়ে, বিভেদ তীব্রতর হয়, বাকবিতন্ডা চরমতম রূপ লাভ করে। একে একে প্রত্যেক জুরি অবস্থান বদলান, বাদ থাকেন একজন বয়োবৃদ্ধ জুরি। এক সময় তিনিও হার মানেন। নিজের ছেলের হাতে লাঞ্ছনার স্মৃতি তাকে বিপর্যস্ত করে রেখেছিল, যা এই ছেলেটির ব্যাপারেও তাকে নির্দয় করে তোলে। মতৈক্য আসে ছেলেটিকে নির্দোষ ঘোষণায়। যুক্তিতর্কে নাটকটি যেন সমাজের অনেক চিত্রকেই সামনে নিয়ে আসে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App