×

বিনোদন

কার কণ্ঠের দাম বেশি!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০১৮, ০২:৪১ পিএম

কার কণ্ঠের দাম বেশি!
কার কণ্ঠের দাম বেশি!
কার কণ্ঠের দাম বেশি!
কার কণ্ঠের দাম বেশি!
কার কণ্ঠের দাম বেশি!
কার কণ্ঠের দাম বেশি!
বলিউডে যারা বহু সাধনা ও ত্যাগের পর নিজেকে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়ার যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন সেসব শিল্পীর নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন শ্রেয়া ঘোষাল বলিউডের গান শুনেছেন অথচ শ্রেয়া ঘোষালের নাম শোনেননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না! জীবনের প্রথম ১৩ বছর তারা তিনি রাজস্থানে বেড়ে ওঠেন। বাবার উৎসাহে তিনি সা রে গা মা পা তে অংশগ্রহণ করেন। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবার নজরে আসেন। এরপর ২০০২ সালে সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘দেবদাস’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো কণ্ঠ দেন। এ সিনেমার ৫টি গানই তিনি কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, উদিত নারায়ণদের মতো বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে গেয়েছেন। এই সিনেমার ব্যায়রে পিয়া গানটিই ছিল তার বলিউড জীবনের প্রথম গান। এ গানের জন্য তিনি সেবার জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেন। তিনি বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, কন্নড়, গুজরাটি, আসামিজ, নেপালি ভাষায় অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি ৪ বার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। তিনি প্রথম ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী যার প্রতিকৃতি মাদাম তুসো জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এ শিল্পী প্রতি গানে পারিশ্রমিক হিসেবে ১৮-২০ লাখ রুপি নিয়ে থাকেন। ইয়ো ইয়ো হানি সিং তার প্রকৃত নাম হিরদেশ সিং। ২০১১ সালে শাকাল পে মাত যা সিনেমার শিরোনাম সঙ্গীত শাকাল পে মাত যা পানডুর মাধ্যমে তার বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। মাস্তান সিনেমায় তিনি একটি গানের জন্য ৭ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নেন যা তখন পর্যন্ত বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড ছিল। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে অশালীন গীতিকবিতার জন্য অভিযোগ উঠেছিল যা তিনি পুনরায় না করতে অস্বীকৃতি জানান। সানি সানি, পার্টি অল নাইট, চার বোতল ভোদকা, ধীরে ধীরে সে, লুঙ্গি ড্যান্সসহ বহু জনপ্রিয় গানের জন্য তিনি বলিউডে বেশ শক্তপোক্ত স্থান তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে গানপ্রতি ১৫ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। মিকা সিং এ শিল্পীর প্রকৃত নাম অমৃক সিং। তার বাবা আজমির সিং চন্দন একজন কৃষিবিদ ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তার প্রথম অ্যালবাম সাওয়ান মে লাগ গায়ি আগ প্রকাশিত হয় যা প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়। তিনি বাংলা, হিন্দি, তামিলসহ বহু ভাষায় অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দেন। সুবা হোনে না দে, ডিঙ্কা চিকা, জুম্মে কি রাত, আপ কেয়া হোগা তার হিট গানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ‘গানম্যান’ খ্যাত এ শিল্পী বর্তমানে তার প্রতি গানের জন্য ১৩ লাখ রুপি নিয়ে থাকেন। অরিজিৎ সিং তিনি ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত ফেইম গুরুকুল নামক প্রতিযোগিতায় ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে দর্শক ভোট গণনায় বাদ পড়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত তিনি ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করেন। এই শো চলাকালীন সঞ্জয়লীলা বানসালি তার ‘সাওয়ারিয়া’ সিনেমার জন্য ইউ শাবনামি শিরোনামের একটি গান রেকর্ড করান। কিন্তু পরবর্তী সময়ে চিত্রনাট্য পরিবর্তনজনিত কারণে গানটি বাদ দিতে হয় সিনেমাটি থেকে। বলিউডে তার সঙ্গীতের অভিষেক ঘটে মার্ডার-২ সিনেমার ফির মোহাব্বত গানটির মধ্য দিয়ে। মিথুনের কম্পোজিশনে গানটির রেকর্ডিং হয় ২০০৯ সালে কিন্তু সেটি মুক্তি পায় ২০১১ সালে। আশিকি-২ সিনেমার তুম হি হো গানের মাধ্যমে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পান। রাবতা, ফির আয়া দিল, দুয়া, দিল্লি ওয়ালি গার্লফ্রেন্ড, ইলাহি, তুম হি হো, বালাম পিচকারি, সামঝাওয়ান, সোনো না সাঙ্গ মার মার প্রভৃতি তার হিট গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষাভাষীদের কাছেই অসম্ভব জনপ্রিয়। এ ছাড়াও তিনি তেলেগু ও তামিল ভাষায় গান গেয়েছেন। এ শিল্পী গানপ্রতি ১৩ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। মিত ব্রোস সঙ্গীতের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার দরুণ পূর্বপরিচয়সূত্রে অঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে তারা একসঙ্গে সঙ্গীত পরিচালনা শুরু করেন। এ সময় তারা তাদের ত্রয়ীর নাম দেন মিত ব্রোস অঞ্জন। ২০১৫ সালে মিত ভ্রাতৃদ্বয় ত্রয়ী ভেঙে দেয়ার কথা জানানোর আগ পর্যন্ত তাদের উপহার দেয়া হিট গানগুলোর মধ্যে বেবাসি, বেবি ডল, পিঙ্ক লিপস, চিটিয়া কালাইয়্যা, হ্যাং ওভার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। পরবর্তী সময়ে মিত ভ্রাতৃদ্বয় মিলে তৈরি করেন মিত ব্রোস দ্বৈত। তাদের দুজনের করা কম্পোজিশনের মধ্যে তু ইশাক মেরা, মাস্তিজাদে, কামিনা হ্যায় দিল, হাই হিলস, জুনোনিয়াত উল্লেখযোগ্য। মিত ব্রোস প্রতি গানের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়ে থাকেন ১২-১৩ লাখ রুপি! হ মেলা ডেস্ক

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App