×

জাতীয়

দুদক এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে : রিজভী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০১৮, ০১:৩২ পিএম

দুদক এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে : রিজভী
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে তারা আবারও প্রমাণ করল তারা সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার। বাংলাদেশ ব্যাংক লুট হলো, সরকারি ব্যাংক লুট হয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেল, অথচ দুদক এক্ষেত্রে উটপাখীর মতো বালিতে মাথা গুঁজে রেখেছে। মামলা করা তো দূরে থাক এদের বিরুদ্ধে একটা শব্দও মুখ থেকে বের হয় না। রিজভী আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছে দুদক। গতকাল দুদকের পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল করা হয়েছে। এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগে উচ্চ আদালত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজে আনন্দলাভ করেন। রিজভী আরও বলেন, যাই হোক তারপরও আমরা উচ্চ আদালত থেকে প্রতিকার পেয়ে থাকি। অ্যাটর্নি জেনারেলের হাজার চেষ্টার মধ্যেও যতটুকু প্রতিকার পাওয়া যায় এবং উচ্চ আদালত যাতে নিরপেক্ষ থাকে সেটাই জনগণের প্রত্যাশা। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে রিজভীর অভিযোগ, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যন্ত খেয়ে ফেলা হয়েছে। আজও পত্রিকার হেড লাইন রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ২০ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে খেলাপি ঋণ। এর উল্লম্ফন গতির লাগাম কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। প্রকৃত টাকার অংক আরও অনেক বেশি। এই খেলাপি ঋণের টাকা সব ক্ষমতাসীনদের পকেটে ঢুকেছে। লুট করে শেয়ার বাজার শেষ করে দেয়া হয়েছে।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, এসব লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন কথাতো শুনিনি। কারণ, তারা সরকারি দলের লোকদের আত্মীয়স্বজন, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদেরও আত্মীয়স্বজন। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে যাতে কোনো আওয়াজ না ওঠে সেজন্য গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়ে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা হয়েছে এবং সোচ্চার বিরোধী দলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App