৮ দিনে নিজ কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু-১
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০১৮, ০৩:২৪ পিএম
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ফ্রান্সে রয়েছে। নির্মাণ শেষে সেটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্য সেটি বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নেওয়া হবে।এমন কার্যক্রমের মধ্যেই মহাকাশে নিজেদের স্যাটেলাইট পাঠাতে এথন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আগামী এপ্রিলের প্রথম পক্ষেই উৎক্ষেপন হবে দেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্যাপ ক্যানাভেরালে অবস্থিত স্পেস এক্সের লঞ্চ প্যাড থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। সঠিকভাবে পাঠানো গেলে আট দিন পর এটি মহাকাশে বরাদ্দ পাওয়া ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাবে। এমন তথ্য জানিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেন, ফ্রান্সের থেলেস এলেনিয়া স্পেস কোম্পানি স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে তা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তরও করেছে।উৎক্ষেপনের পর মহাকাশে নিজ কক্ষপথে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে স্যাটেলাইটি কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, গত সোমবার নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এমন তথ্য তথ্য জানিয়েছেন।বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, দেশের প্রায় ৩৭ স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের কাছে ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি ডলার আয় করা যাবে। এসব চ্যানেল এখন বিদেশের বিভিন্ন স্যাটেলাইট থেকে ফ্রিকোয়েন্সি কিনে অনুষ্ঠান প্রচার করছে। এতে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।তবে এ টিভি চ্যানেলগুলো এখনকার প্রচলিত ক্যাবলভিত্তিক প্রচারের পরিবর্তে ছোট ডিস অ্যান্টেনার ডাইরেক্ট টিভি সিগন্যাল পাবে। সেই ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের দায়িত্বে থাকবে দুটি প্রতিষ্ঠান।বেক্সিমকো গ্রুপ ও বায়ার মিডিয়া টিভি চ্যানেল ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ ও সিগন্যাল বিকিকিনির পুরো ব্যবসায়িক দিক দেখবে।গাজীপুরে প্রায় ১৩ একর জায়গার ৫ একর জুড়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেখানে বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। প্রায় ১৫ জনের দলে একমাত্র বাংলাদেশি তাসনিয় তাহমিদ।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০ ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশ ব্যবহার করবে। বাকি ২০টি বিদেশি বা প্রতিবেশী দেশের কাছে ভাড়া দেওয়া যাবে।উৎক্ষেপণের পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত এর তদারক করবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। এটি আগামী ১৮ বছর পর্যন্ত মহাকাশে থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি এবং কাজ করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।