×

আন্তর্জাতিক

গোলাগুলির কারণে ঘৌতায় ঢুকেও ফিরে এসেছে ত্রাণবাহী গাড়ি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০১৮, ০২:০৪ পিএম

গোলাগুলির কারণে ঘৌতায় ঢুকেও ফিরে এসেছে ত্রাণবাহী গাড়ি
সিরিয়ার অবরুদ্ধ ঘৌতার পূর্বাঞ্চলে আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী গাড়িগুলো ঢুকতে পারলেও নির্ধারিত কাজ শেষ না করেই ফিরতে হয়েছে। বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে সিরিয়ার সরকারিবাহিনীর চলমান বোমা হামলা ও গোলাগুলির তীব্রতার কারণে ফিরতে হয়েছে ত্রাণবাহী গাড়িগুলোকে। যুদ্ধের তীব্রতার মুখে ত্রাণ তৎপরতা শেষ না করেই সোমবার সন্ধ্যায় দৌমা থেকে দামাস্কাসে ফেরা শুরু করে ত্রাণবাহী ৪৬টি ট্রাক। ইউএনএইচসিআরের সিরিয়া প্রতিনিধি সাজ্জাদ মালিক টুইট করেছেন, গোলাগুলির মধ্যেও আমরা যতটা পেরেছি ত্রাণ দিয়েছি। ওখানকার নাগনিকরা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ত্রাণ বিতরণ কাজে যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল তারা সবাই ভালো আছেন। এ ছাড়া কিছু ওষুধ পরিবহনে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে বাধা পাওয়ার কথাও জানিয়েছে জাতিসংঘ ও রেডক্রস। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভাষায় সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে রুশ সমর্থিত হামলা শুরুর পর এটিই ছিল এ ধরনের সাহায্য পৌঁছানোর প্রথম দফা। ব্রিটেনভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, সোমবার যখন ত্রান পৌঁছাচ্ছিল তখনও যে হামলা চালানো হয়েছে তাতে ৬৮ জন মারা গেছেন। গেল তিন সপ্তাহে এ নিয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৬০-এ। সংস্থাটির মতে, পূর্ব ঘৌতার এক-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ এখন সিরীয় সেনাদের হাতে রয়েছে। বিদ্রোহীদের শক্ত অবস্থানকে দুটি অংশে বিভক্ত করে ফেলতে তারা আরও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাক থেকে ত্রাণ নামানো হচ্ছিল এমন একটি স্থানের এক কিলোমিটারের মধ্যেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে অবজারভেটরি। জাতিসংঘ বলছে, ঘৌতার পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৪ লাখ মানুষ আটকা পড়েছেন। বিমান হামলা শুরুর দু’সপ্তাহ আগে থেকেই তারা খাদ্য ও ওষুধ সঙ্কটে রয়েছেন বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদিকে রোববারও আসাদ জোরগলায় সাংবাদিকদের বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। ঘৌতায় মানবিক সঙ্কটের যে অভিযোগ পশ্চিমারা তুলেছেন সেটি উড়িয়ে দিয়ে এ ধরনের অভিযোগকে হাস্যকর মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি। গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষকে পালানোর সুযোগ করে দিতে যুদ্ধে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা ‘মানবিক বিরতি’ থাকবে। তবে সেখান থেকে কেউ পালিয়ে যেতে পেরেছে- এমন কোনো খবর নেই। ঘৌতায় মানুষের দুর্দশার জন্য রাশিয়া ও সিরিয়াকে দায়ী করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। হোয়াইট হাউস বলছে, জাতিসংঘ সিরিয়াতে ৩০ দিনের যে যুদ্ধবিরতি চেয়েছে রাশিয়া তা এড়িয়ে যাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App