ইরানে বিধ্বস্ত বিমানের 'ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে'
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৭:৩৮ পিএম
ইরানের পার্বত্যাঞ্চলে ৬৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সোমবার এ খবর জানিয়েছে। তবে বিমান পরিচালনা কর্তৃপক্ষ খবরটি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
রোববার রাজধানী তেহরান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইয়াসুজেগামী আসেমান এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীন রুটের এটিআর ৭২-৫০০ ফ্লাইটটি উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক পর জাগ্রোস পর্বত এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
উড়োজাহাজটির ৬৬ আরোহীর সবাই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আসেমান এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র।
ঝড়ো বাতাস ও তুষারপাতের কারণে রোববার তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল। সোমবার আবারও অভিযান শুরু করে উদ্ধারকর্মীরা।
কোহগিলুয়ে এবং বোয়ের-আহমেদ প্রদেশের ডেপুটি গভর্নরের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে ইসফাহান প্রদেশের সেমিরোম কাউন্টির ডেঙ্গেজলু শহরের কাছে।
কিন্তু এ খবরের কয়েক মিনিট পরই ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন বলেছে, তারা ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
ইরানের টেলিভিশন চ্যানেল আইআরআইএনএন এবং ইংরেজি ভাষার চ্যানেল প্রেস টিভিও খবরটি নিশ্চিত করতে পারেনি।
তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সেমিরোমে পৌঁছানোর পর ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস আখুন্দি বলেছেন, “আমরা পুরোপুরি ধাঁধাঁয় পড়ে গেছি। কোনো কিছুই জানতে পারছি না।”
ইরান স্যাটেলাইট ছবি দিয়ে সহায়তা করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর পাশাপাশি চীনকে অনুরোধ জানিয়েছে। ইরানের স্পেস এজেন্সির উপপ্রধান কর্মকর্তা আইএসএনএ বার্তা সংস্থাকে একথা জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো রেড ক্রিসেন্টের এক সদস্য আইএসএনএ বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ডেঙ্গেজলু গ্রামের কাছে একটি ‘ডার্ক স্পট’ দেখা গেছে। সেটিই বিধ্বস্ত বিমানের চিহ্ন হতে পারে।
প্রতিকূল আবহাওয়া এবং এলাকাটি দুর্গম পার্বত্যময় হওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। সামরিক ড্রোন দিয়েও চলছে অনুসন্ধান।
গত কয়েকদশকে ইরানে বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের বিমান কিংবা এর যন্ত্রাংশ উন্নয়নের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে দেশটি অভিযোগ করে আসছে।