×

মুক্তচিন্তা

খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ও প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন

Icon

মুক্তচিন্তা কলাম লেখক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৭:০২ পিএম

আইনের ধারায় যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য, তবে সে ক্ষেত্রে দল হিসেবে বিএনপি শুধুমাত্র খালেদা জিয়া ও তার পুত্রের কারণে নির্বাচন থেকে দূরে থাকবে কিনা, তা তো তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে ধারা খালেদা জিয়ার মাধ্যমে প্রতিভাত হলো এই ধারায় সব দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও দলমত নির্বিশেষে সবাইকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই জনগণের প্রত্যাশা।

সময়ের প্রয়োজনে

সম্প্রতি বাংলাদেশের মূল বিরোধী দল বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ড প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। দুর্নীতির দায়ে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, বিশেষ করে সরকার প্রধান হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের এরূপ উদাহরণ অনেক আছে। তবে বাংলাদেশে এই প্রথম একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার শাসনামলে দুর্নীতির জন্য দণ্ডিত হলেন। বিচারালয়ে সুদীর্ঘ দিন মামলা পরিচালিত হওয়ার পর বিচারক কর্তৃক দণ্ডিত হওয়া সাধারণত আইনের শাসনের ধারাবাহিকতায় হয়ে থাকে। অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর প্রায় ১০ বছর পর তিনি দণ্ডিত হলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তিনি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিএনপির নামকরা আইনবিদরা এই মামলায় প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন খালেদা জিয়াকে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত হওয়া উচিত নয়। কেননা তিনি যা করেছেন, (তাদের মতে) এটা অর্থ আত্মসাৎ পর্যায়ে পড়ে না। কিন্তু জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে, একটা ট্রাস্টের টাকা ওই ফান্ডে জমা না হয়ে বিভিন্ন নামে জমা দেয়া হয়েছে এবং ওই সব ব্যক্তিরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার খুব কাছের লোক ছিলেন। কোনো ট্রাস্টের টাকা ব্যাংকিং আইন মতে এভাবে বিভিন্ন নামে জমা করে আবার ইচ্ছামতো তা তুলে নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহার করা, ব্যাংকিং আইনসম্মত নয়। তা ছাড়া যারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে এসব অর্থ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে জমা রেখেছেন বা বিনিয়োগ করেছেন, তারা অবশ্যই অর্থ আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত।

মাননীয় বিজ্ঞ আদালত সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি না দিয়ে সর্বনিম্ন শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপির নেতারা বলে আসছিলেন খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার প্রয়াসে ক্ষমতাসীন দল সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকার কর্তৃক রুজু করা মামলার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দল হিসেবে বিএনপি ও নেতা হিসেবে খালেদা জিয়ার মানমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন। তারা জানতেন যে, মামলার বিষয়বস্তু যা, তাতে খালেদা জিয়া দণ্ডিত হবেন। এ জন্য অনেক পূর্ব থেকেই তারা বলে আসছেন যে, খালেদা জিয়াকে অসম্মান করার জন্যই ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ওই মামলাটি যখন রুজু করা হয়েছে, সেই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ও তাদের পরামর্শে দুর্নীতি দমন কমিশন এই মামলা দায়ের করেন। তাই বর্তমান সরকারের ওপর দোষ চাপানো যুক্তিযুক্ত নয়। ১০ বছর মামলা চলেছে, অগণিত সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তও হয়েছে। মামলার যুক্তিতর্ক চলাকালীন বিএনপির আইনজীবীরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। কিন্তু আইনের ধারায় তা যুক্তিগ্রাহ্য হয়নি। যেহেতু সামনে নির্বাচন এবং যেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই বিএনপি দল হিসেবে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার মাধ্যমে দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টি করে তাই নিজেদের দায়মুক্তির জন্য সম্প্রতি বিএনপি বলা শুরু করেছে খালেদা জিয়াকে আটক রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চায় বলে, এভাবে খালেদা জিয়াকে দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মামলা যখন শুরু হয়েছে, তখন নির্বাচনের প্রশ্ন ছিল না। এরই মধ্যে একাধিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে এবং পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি।

আগামীতে বিএনপির শর্ত না মানলে দলটি নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিচ্ছে। এমন বাস্তবতায় বিরোধী দল বিএনপি কেমন করে বলে যে, খালেদা জিয়াকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় পুনরায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তো বলেই আসছেন, ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন আর নয়। সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিযোগিতামূলক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তিনি করতে চান। সেই জন্য সব দলের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। বিএনপি থেকে সেই কমিশনকে কিছু প্রশংসাও করা হয়েছে। সরকারি দল থেকে অন্য নেতারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাই এখন এ কথা বলা একেবারেই যুক্তিসঙ্গত নয় যে, ক্ষমতাসীন দল বিএনপি নেত্রীকে আটক রেখে একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চায়।

আওয়ামী লীগ তো বলেছে যে, সাংবিধানিক ধারায় নির্বাচন হবে। সাংবিধানিক ধারা হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সরকারের রূপরেখা কেমন হবে, সেই সম্পর্কেও বলা হয়েছে। সুতরাং খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার বাইরে রেখে নির্বাচন করার প্রসঙ্গ একেবারেই অযৌক্তিক। কিন্তু কেউ আইনের শাসনের ধারায় কৃত অপরাধের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য হলে, সেই কারণে কোনো দল, ব্যক্তি, সরকার বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে এর জন্য দায়ী করা যায় না। সংবিধান মতে ২ বছরের তদূর্র্ধ্ব দণ্ডিত হলে, বোধহয় পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান নেই। যদি দণ্ডরে বিরুদ্ধে আপিল করা হয় এবং সেই আপিলের রায় পর্যন্ত কী ব্যবস্থা করা হবে সেই সম্পর্কে প্রচলিত আইনানুযায়ী যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তাতে করে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে যোগ্য বা অযোগ্য দুই-ই হতে পারেন।

বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী এর সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে আদালতে দণ্ডিত করার পূর্বাপর বিএনপির সমর্থকরা যে অবস্থার সৃষ্টি করেছেন, তা আদালত অবমাননার শামিল। দণ্ড দেয়ার কারণে আদালতের ওপর কটাক্ষ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে এই রায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু একজন সাধারণ নাগরিক, যিনি এই আদালতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন, তার বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ওই ট্রাস্টের নামে যা কিছু করা হয়েছে, তার মূল লক্ষ্য ছিল আত্মসাৎ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও তার আত্মীয়রা চরমভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাস্টের দেয় প্রদত্ত অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য যে টালবাহানা করেছেন, তা ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ও উদ্দেশ্যমূলক। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা তো আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই অনেকের মতে বাংলাদেশে আইনের শাসন বিদ্যমান, তা খালেদা জিয়ার দণ্ডিত হওয়ার মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত। যদিও নিম্ন আদালতের রায় দেয়া হয়েছে ও আপিলের সুযোগ রয়েছে, তথাপি আদালত যে বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে রায় প্রদান করেছে, তা প্রশংসনীয়।

এখানে বলা প্রয়োজন এভাবে অপরাধীর পদমর্যাদা ক্ষমতাধর অবস্থানকে অগ্রাহ্য করে আইনের শাসনের ধারায় বিচার করা হয় এবং অন্য অপরাধীদের একই মানদণ্ড বিচার করা হয়, তাহলেই কেবল গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আইনের শাসনের যে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তা প্রকৃত অর্থেই বাস্তবায়িত হবে ও গণতন্ত্রের পথ সুপ্রশস্ত হবে। আইনের কাছে সবাই সমান; ধনী-গরিব, ব্যক্তিগত পদমর্যাদা, অর্থ-বিত্ত কোনো কিছুই বিবেচ্য বিষয় নয়। সর্বক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে বিচার করা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতিকে সংশ্লিষ্ট করে আইনের শাসনের ধারাকে ব্যাহত করা কখনোই গণতন্ত্রসম্মত বলে বিবেচিত হতে পারে না। বাংলাদেশের আরো একজন সামরিক শাসক দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়ে প্রায় ৬ বছর কারাগারে ছিলেন। সামরিক শাসক হওয়া সত্তে¡ও তাকে সিভিল আইনে দণ্ড দেয়া হয় ও তা হয়েছিল খালেদা জিয়ার শাসনামলে। তাই বাংলাদেশের সরকার প্রধানদের দুর্নীতির মাধ্যমে অভিযুক্ত হওয়া এটাই প্রথম নয়। এটা প্রমাণিত এ দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা এখন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। বিএনপি যে বলছে, বিচারালয়কে প্রভাবিত করে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে, তাহলে কি জেনারেল এরশাদের ব্যাপারেও খালেদা জিয়া আদালতকে প্রভাবিত করে এরশাদকে দণ্ডিত করেছিলেন? আসলে আদালতকে যদি প্রভাবিত করা না হয়, তাহলে এভাবে স্বচ্ছ ও যৌক্তিক রায় জাতি প্রত্যাশা করতে পারে। আর যদি খালেদা জিয়া সঠিক বিচার না পেয়ে থাকেন, তাহলে উচ্চ আদালতে আবেদন করে ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। রায়কে কেন্দ্র করে রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বাঞ্ছনীয় নয়। আসলে দেশের সাধারণ মানুষ জানতে পেরেছে, কী কারণে তিনি দণ্ডিত হয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক কারণ নয়। কারণ একটাই, এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার।

আসলে ক্রিমিনাল মামলায় যদি কেউ অভিযুক্ত হন ও সঠিক বিচার করা হয়, সেখানে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কোনো অবকাশ থাকে কি? যা কিছু করা হয়েছে, সবই দৃশ্যমান। দৃশ্যমান করেই এ বিচার করা হয়েছে। কোনো কিছুই গোপন ছিল না। তাই এ রায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি করে ফায়দা লোটা যৌক্তিক হবে না। রাজপথে হৈচৈ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে বিএনপির উচিত আইনের শাসনের দিকে অগ্রসর হওয়া। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিএনপির নিজস্ব বিষয়। এ কথা এখনো পরিষ্কারভাবে কেউ বলেননি যে, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হবে না। সরকারি দল থেকে বলা হচ্ছে আইনের শাসনের ধারায় সবাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আর আইনের ধারায় যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য, তবে সে ক্ষেত্রে দল হিসেবে বিএনপি শুধুমাত্র খালেদা জিয়া ও তার পুত্রের কারণে নির্বাচন থেকে দূরে থাকবে কিনা, তা তো তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে ধারা খালেদা জিয়ার মাধ্যমে প্রতিভাত হলো এই ধারায় সব দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও দলমত নির্বিশেষে সবাইকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই জনগণের প্রত্যাশা। সংবিধান অনুযায়ী যদি প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদার ব্যক্তিরা দণ্ডিত হন, সেই কারণে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হন, সে ক্ষেত্রে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ গ্রহণের পদক্ষেপ অবশ্যই গণতন্ত্রের জন্য শুভকর হবে না।

জাতি হিসেবে দুর্নীতিমুক্ত হতে হলে, দলমত নির্বিশেষে তাদের আইনে সোপর্দ করে প্রকৃত রূপ জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। খালেদা জিয়ার যেমন শাস্তি হয়েছে, সেই একই ধারায় অন্য সব দুর্নীতিবাজ শাস্তি পাক, সেই প্রত্যাশা রইল। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে কোথাও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। বরং একজন সৎ, ত্যাগী ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। যেহেতু তিনি দুর্নীতি করেন না ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয়ও দেন না, তাই এ রায়ের মাধ্যমে সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার সামনে এখন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু উপস্থাপিত হলো। তার শাসনামলে প্রকৃত দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না, এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

ডা. এস এ মালেক : রাজনীতিক ও কলামিস্ট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App