ডিএনসিসি উপনির্বাচন স্থগিত সরকারের নীলনকশার অংশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০২ পিএম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচন বানচাল করা সরকারের পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশার অংশ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলটির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
ডিএনসিসি মেয়র পদে উপনির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে বুধবার সকালে হাইকোর্ট রুল জারি করে।
হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতা। কারণ,তারা সীমানা নির্ধারণ না করেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এটা আইন অনুযায়ী হয় না। সরকার যেহেতু নির্বাচনের ফলাফল আগেই জানত তারা হেরে যাবে, তাই তারা এ সুযোগ নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ত্রুটিপূর্ণ তফসিলের কারণেই সংক্ষুদ্ধরা রিট করার সুযোগ পেয়েছেন। আমরা বারবার বলে আসছি নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সিইসি আওয়ামী লীগের মাস্টারপ্লানেরই অংশ। ডিএনসিসিসহ ঢাকা সিটিতে যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি হবে এটা সরকারি দল নিশ্চিত জানে। গণমাধ্যমেও এ রকম খবর বেশ কয়েকদিন ধরে প্রকাশিত হচ্ছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এ বছর হওয়ার কথা। তাই ঢাকা সিটিতে বিপুল ভোটে পরাজিত হলে আওয়ামী লীগের জাতকুল কিছুই থাকবে না। তাই সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন আইনি ত্রুটি রেখে এ তফসিল ঘোষণা করেছেন। এটা সরকারেরই নীল নকশার একটা অংশ।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এখন যিনি প্রার্থী হবেন তিনি জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে-এটা সম্ভব হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা ৭৫ ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হলে,করপোরেশন এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে,যথাযথভাবে গঠিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ আইন মতে, উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৫ ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে নির্বাচনই হয়নি।
এছাড়া, সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন তারা কত দিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তারা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন,না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন, তা নির্ধারণ করেনি কমিশন। এ সব ত্রুটির কারণেই রিট করার সুযোগ পেয়েছেন সংক্ষুব্ধরা।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন,মুনীর হোসেন, আবদুল আউয়াল খান প্রমুখ।