বন্ধু হত্যায় যাবজ্জীবন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:২৬ পিএম
ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সেতু সরকার হত্যা মামলায় তার বন্ধু এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগের ছাত্র মেজবাউল আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রোববার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনাল এ আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠান।
রায়ে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর প্রাকৃতিক নিয়ম বর্হিভূতভাবে সেতু সরকারের সাথে যৌন সঙ্গম করার অপরাধে তার আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে সেতুর অপর বন্ধু পুনমকে কারেন্ট শক দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ওই আসামির ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাস কারাভোগের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ আগষ্ট বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন শাহজাহান ভূঁইয়া ওরফে বাদল সাহেবের বাড়ীর চতুর্থ তলার মেসে সেতু সরকারকে বলাৎকার করে মেজবাউল। এরপর সে তাকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে। আর সেতুর বন্ধু পুনমকে কারেন্ট শক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় সেতুর চাচা রতন কুমার সরকার পরদিন বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৩১ আগষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে চার্জশিটভূক্ত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।