×

জাতীয়

টাঙ্গাইল-৫ আসনে মনোনয়ন চান নিহত আ.লীগ নেতা ফারুকের স্ত্রী

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:০৫ পিএম

টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি মনোনয়ন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাহার আহম্মেদ। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু ভিআইপি অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে নিহত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মদ দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ মনোনয়ন চান।

এসময় তিনি তার প্রতিশ্রুতিতে জানান, নিহত ফারুক আহম্মদের হত্যা ও বিচার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে হত্যা, নৈরাজ্য ও জিম্মিদশা সৃষ্টিকারীদের অধ্যায়ের যে পতন ঘটেছে- তা রক্ষা করাসহ সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত টাঙ্গাইল গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা পিতা, মাতাসহ সপরিবার হারানোর শোক নিয়েও যদি দৃঢ়তার সাথে দেশ ও দলকে পরিচালনা করতে পারেন। তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক এবং নিহত ফারুক আহম্মদের স্ত্রী হয়ে কেন টাঙ্গাইল সদর আসনকে তিনি পরিচালনা করতে পারবে না।

নাহার আহম্মদের এ প্রার্থিতা ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোটমনি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোলায়মান হাসান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জেবুনেসা চায়না, শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড়মনি, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রৌফ চাঁন মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রনি আহম্মেদ, শাফিউল আলম মুকুলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App