ইউসিসিসহ ছয় কোচিংয়ের ফার্মগেট শাখার লাইসেন্স বাতিল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:১৯ পিএম
অবৈধ ও অননুমোদিত বিলবোর্ড, পোস্টার, ফেস্টুন ও ওভারহেড সাইনবোর্ড অপসারণ না করায় ছয়টি কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ।
এই ছয় কোচিং সেন্টার হল ফার্মগেইটের ইউসিসি কোচিং সেন্টার, ইউনিএইড কোচিং সেন্টার, আইকন কোচিং সেন্টার, আইকন প্লাস কোচিং সেন্টার, ওমেগা কোচিং সেন্টার এবং প্যারাগন কোচিং সেন্টার। সবগুলোরই অবস্থান রাজধানীর ফার্মগেইট এলাকায়।
মঙ্গলবার সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধভাবে পোস্টার লাগানোর বিষয়ে এই কোচিং সেন্টারগুলোকে এর আগে সতর্ক করা হয়েছিল। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে দেয়াল লিখন ও পোস্টার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
“এরপরও সংশোধন না হওয়ায় সিটি করপোরেশন (ট্যাক্সেশন) রুলস ১৯৮৬ অনুযায়ী এই কোচিং সেন্টারগুলোর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হয়।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া বলেন,এই কোচিং সেন্টারগুলো ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতায়। দৃষ্টিদূষণের অভিযোগে ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিল রাজস্ব বিভাগকে।
“আমাদের কাছে একটা রিকুইজিশন দিয়েছিল এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তারা আমাদের বলেছিল, কোচিং সেন্টারগুলো যেখানে সেখানে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়ে দৃষ্টিদূষণ করছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়েছিল। তারা ওয়াদা করেছিল পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে নেবে। কিন্তু ওয়াদা রক্ষা করে নাই।”
তিনি জানান, মাসখানেক আগে এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও বিষয়টি তখন সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়নি।
সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। আর ঢাকায় এই লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা ও চাকরিতে নিয়োগের বিভিন্ন পর্যায়ে ঢাকায় কতগুলো কোচিং সেন্টার ব্যবসা করছে, তার মধ্যে কতগুলোর অনুমোদন রয়েছে- সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় কোচিং সেন্টারগুলোর জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। ইউসিসির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ নিয়ে কয়েক বছর আগে তদন্তও হয়েছে।
যেসব শিক্ষক অবৈধভাবে কোচিং করিয়ে সম্পদ অর্জন করেছেন এবং কোচিং সেন্টারের মালিকদের অবৈধ সম্পদ খতিয়ে দেখারও ঘোষণা দিয়েছে দুদক।