×

মুক্তচিন্তা

সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা অব্যাহত থাকুক

Icon

কাগজ অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৭:৪০ পিএম

অবাধ-সুষ্ঠু রসিক নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ওপর দেশবাসীর আস্থা জোরালো করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এই শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক, রংপুর থেকে গণতন্ত্রের চেতনা সবার মধ্যে নতুন করে জাগ্রত হোক- এই আমাদের প্রত্যাশা।

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ৯৮ হাজার ৮৯ ভোটের এক বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এই নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সর্বমহলেই এটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবারই ধন্যবাদ প্রাপ্য।

রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার পর এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন হয়েছে। এর আগে, ২০১২ সালের ২৮ জুন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ হয়েছে এই প্রথম। নগরবাসী প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট দিয়ে তাদের নগর পিতাকে মনোনীত করেছেন। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন জাপার এই প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট।

সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দিনভর বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটাররা। জাল ভোট ও ভোট কারচুপি, নিজের ভোট দিতে না পারা- এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও ছিল যথেষ্ট ভালো। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন তৈরি হতে না পারে সেদিকে সতর্ক খেয়াল রেখেছেন তারা। মাত্র একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া আর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন। মোট কথা, রসিক নির্বাচনকে সবাই সুষ্ঠু বলছেন। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচন চলাকালীন কারচুপির অভিযোগ এনে সরে গেছে। সবার বিবেচনায় অবাধ-সুষ্ঠু এই নির্বাচন থেকে তাদের এভাবে সরে যাওয়া নির্বাচন বিশ্লেষকদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে না স্বাভাবিক কারণেই।

আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য যে, এবারই প্রথম রসিক নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিং ব্যবহারের সাফল্যেও উদ্দীপ্ত নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল নানা কারণেই তাৎপর্যপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের জন্য এ নির্বাচন ছিল একটি অগ্নিপরীক্ষা, যা তারা সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পেরেছেন। অবাধ-সুষ্ঠু রসিক নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ওপর দেশবাসীর আস্থা জোরালো করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এই শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক, রংপুর থেকে গণতন্ত্রের চেতনা সবার মধ্যে নতুন করে জাগ্রত হোক- এই আমাদের প্রত্যাশা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App