×

মুক্তচিন্তা

ভাঙচুর-নাশকতা সৃষ্টিকারীদের শাস্তি দিন

Icon

কাগজ অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৬:৫২ পিএম

গত মঙ্গলবার সচিবালয়ের সামনের সড়কে ও বঙ্গবাজার এলাকায় ভাঙচুর করা হয়। যে কোনো কিছুকে ইস্যু করে সড়কে যানবাহন ভাঙচুর-নাশকতা চালিয়ে জাতীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতিসাধন, সাধারণ মানুষকে বিড়ম্বিত করা এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি কোনো সভ্য সমাজের নিয়ম-নীতির মধ্যে পড়ে না। এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত এবং নিন্দনীয়।

দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাস্তায় নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ের সামনের সড়কে ও বঙ্গবাজার এলাকায় এই ভাঙচুর করা হয়। যে কোনো কিছুকে ইস্যু করে সড়কে যানবাহন ভাঙচুর-নাশকতা চালিয়ে জাতীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতিসাধন, সাধারণ মানুষকে বিড়ম্বিত করা এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি কোনো সভ্য সমাজের নিয়ম-নীতির মধ্যে পড়ে না। এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত এবং নিন্দনীয়।

জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে বিশেষ আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হন খালেদা জিয়া। ওই সময় দলের নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, পলাশী মোড়, দোয়েল চত্বর ও হাইকোর্ট মাজারের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এ নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ-ধাওয়া। ছাত্রদলের একটি গ্রুপ হাইকোর্ট মাজার এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় ও লাঠিচার্জ করে। ওই সময় ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকশ’ নেতাকর্মী দোয়েল চত্বর থেকে শুরু করে সচিবালয়ের সামনের সড়কে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। আমরা দেখছি খালেদা জিয়া যেদিনই আদালতে হাজিরা দিতে যান, যাওয়া-আসার সময় রাজপথে নেতাকর্মীদের সমাগম ঘটানো হয়। এসব কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, তবু এ সময় কেন দলীয় নেতাকর্মীদের রাজপথে অবস্থান নিতে হবে- এটা আমাদের বোধগম্য নয়। পুলিশ জমায়েত নেতাকর্মীদের সরাতে লাঠিচার্জ করেছে। সেখানে বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে থাকলে সেটাও অনভিপ্রেত। তবে পুলিশি অ্যাকশনের প্রতিক্রিয়ায় পাবলিক ও ব্যক্তিগত যানবাহন ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ কেন- এটা আমাদের বোধগম্য নয়। নাশকতার শিকার হওয়া এসব গাড়ির মালিকদের অপরাধ কোথায়? খালেদা জিয়া রাজনীতি করেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণেই তিনি রাজনীতি করেন। রাজনীতি যদি দেশ ও মানুষের জন্য হয়, তাহলে রাজনীতির নামে মানুষের ক্ষতিসাধন কেন করছেন তার দলীয় অনুসারীরা?

হঠাৎ করে ব্যস্ত নগরীতে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ চালিয়ে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্ত করছে। তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা হয়েছে। এই অবস্থায় মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দেয়ার দায় সরকার এড়াতে পারে না। এসব নাশকতার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। মানুষ চায় রাজনীতির নামে এ ধরনের সহিংসতার অবসান হোক। রাজনীতির নামে বিএনপি গংদেরই চরম নাশকতা-নৃশংসতার সহিংসতার স্মৃতি দেশবাসীর রয়েছে। মানুষ সেই বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি চায় না। আমরা বলব, এই নাশকতার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং শাস্তি নিশ্চিত করুন। অন্যথায় তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে বারবার সুযোগ নিবে। প্রতিবাদের নামে এ ধরনের বিশৃঙ্খল ও নৈরাজ্যকর ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে সরকার ও রাজনৈতিক দল এবং দেশের সব শ্রেণি-পেশার নাগরিক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন- এটাই প্রত্যাশা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App