×

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে পোপকে 'রোহিঙ্গা' শব্দ ব্যবহার না করার পরামর্শ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৪৬ এএম

সোমবার মিয়ানমারে সফরে যাচ্ছেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। তিনদিনের সফরে তিনি দেশটির নেত্রী অং সান সুচি এবং সেনা বাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর সঙ্গে দেখা করবেন ।কিন্তু মিয়ানমারে সফরের সময় কোন বৈঠকে কিংবা ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে তাকে পরামর্শ দিয়েছে মিয়ানমারের কার্ডিনাল আর্চবিশপ চার্লস মোং বো। সাধারণত এ ধরণের পরামর্শ মেনে চলার নজির নেই পোপের। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের সংকটকে বিবেচনা করে পোপের সফরে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়াতে চায় ভ্যাটিকান। জারিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানও এ ধরণের পরামর্শ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এটিই কোন পোপের প্রথম মিয়ানমার সফর। যার কারণে এ পরামর্শের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন পোপ। বিষয়টি নিয়ে ভ্যাটিকান মুখপাত্র গ্রেগ বার্ক বলেন, ‘কূটনৈতিক দিক থেকে এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ সফর হতে যাচ্ছে’। মিয়ানমারে ৬ লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান বাস করে। বুধবার ইয়াঙ্গুন শহরে এক উন্মুক্ত সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন পোপ। সেখানে তিনি খ্রিষ্টীয় অনুসারীদের প্রতি ধর্মীয় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিবেন। এ ছাড়াও এ সফরে তিনি দেশটির বৌদ্ধ নেতাদের সাথেও  দেখা করবেন। ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ মিয়ানমার সফরের সময় মৈত্রী ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সংকট সমাধানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দেবেন। আশা করা যাচ্ছে যে, তার এ সফর রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, সংকট নিরসনে আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সমূহকে বেগবান করার কাজকে উৎসাহিত করবে। মিয়ানমার সেনা বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ সহিংসতাকে জাতিসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বা ‘এথনিক ক্লেনজিং’ বলে অভিহিত করেছে। সেইসাথে বিশ্বের অন্যতম শরণার্থী সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছে। উল্লেখ্য, আগামি শুক্রবার বাংলাদেশে সফরের সময় ঢাকায় রোহিঙ্গাদের একটি ছোট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পোপের দেখা করবার কথা রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App