কার্ডিয়াক সার্জন হওয়ার পথে মেডিকেলের ছাত্রী মানুসি চিল্লার। এরই মধ্যে ‘মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ হয়ে গোটা ভারতের মন চুরি করে ফেলেছেন তিনি। তার ডাক্তারি টুপি বদলে গেছে জেড ব্লু মুকুটে। সৌন্দর্য আর বুদ্দিমত্তার এক অসাধারণ মিশেল মানুসির হাত ধরেই বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় ১৭ বছরের খরা কাটিয়েছে ভারত। মানুসির বাবা-মা মিত্রা বাসু ও নীলম চিল্লার দুজনেই ডাক্তার। এই ডাক্তার দম্পতির লাজুক ও মুখচোরা মেয়েটি হঠাৎ করেই চলে আসেন মডেলিংয়ে। সেন্ট থমাস স্কুল থেকে পড়াশোনা করে গত বছর হরিয়ানার ভগৎ ফুল সিং মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সঙ্গে চলছিল কুচিপুরি নাচের তালিম। কবিতা লিখতেও ভালোবাসেন মানুসি। একদিন হঠাৎ করেই দিল্লির এইমস-এ একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ‘মিস ক্যাম্পাস প্রিন্সেস’ নির্বাচিত হন। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সেখান থেকে মিস হরিয়ানা। তার পর ‘এফবিবি কালারস ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া’। সেখান থেকে ইতিহাস সৃষ্টি করে বিশ্বজয়। আকাশ ছুঁলেও মাটির পৃথিবীকে ভুলে যাননি মানুসি। তার গ্রাম যেখানে, সেই হরিয়ানায় এখনো মহিলারা পিরিয়ডের সময় নিদারুণ দিন কাটান। ন্যাপকিনের বদলে কাঠের পাল্প বা ছেঁড়া পর্দা ব্যবহার করতে হয় তাদের। অর্থকষ্ট আর লোকলজ্জায় স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে পারেন না তারা। এই সব গ্রামীণ মহিলাদের কাছে সস্তায় স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌছে দেয়ার উদ্যোগে সামিল হয়েছেন মানুসি। সঙ্গে জানালেন, কল্পনা চাওলা ও গীতা ফোগটের মতো নারীদের নিজের জীবনের আদর্শ হিসেবে মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, চীনে আয়োজিত ‘৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড’প্রতিযোগিতায় বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জিতেছেন ভারতের হরিয়ানার মেয়ে মানুসি চিল্লার। সেখান থেকে গত শনিবার রাত ১টার দিকে দেশে ফিরেছেন তিনি। আজ সোমবার তিনি কথা বলবেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। বেলা ১১টায় মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারকা হোটেলে দেবেন এক বিশেষ সাক্ষাৎকার। তার পর সন্ধ্যা ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত আবার সাংবাদিক সম্মেলন। এর পর রাত ৯টার পরে এমআইকিউ ভিক্ট্রি পার্টিতে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হবে মানুসিকে।