×

জাতীয়

পৃথক নৌকাডুবিতে কক্সবাজারে ছয় শিশুসহ সাত রোহিঙ্গার মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ০২:৩৫ পিএম

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় সাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই দুটি নৌকা ডুবে ছয় শিশুসহ সাত রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৫ রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার জালিয়াপালং বাইল্যাখালি এলাকা সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে নারী ও শিশুসহ চারজন এবং সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের মহেশখালী পাড়া এলাকায় তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- এনামুল হাসান (৪), মিনারা বেগম (৫) ও জুহুরা বেগম (৬০),সাত মাস বয়সী মাকসুদ, তিন মাস বয়সী জোহরা। বাকি দুইজনের নাম পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়ি রাখাইন রাজ্যের টাউনশিপের বুচিডং (বুথেডং) ইয়্যাংচং গ্রামে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা আশরাফ আলী জানান, মিয়ানমার সেনাদের তাড়া খেয়ে গত সোমবার রাতে ডংখালী থেকে ৩৫ জনের একটি দল নৌকায় করে বাংলাদেশে পাড়ি জমায়। রাতে সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের মহেষখালী ঘাট এলাকায় পৌঁছার পর ঢেউয়ের আঘাতে নৌকাটি উল্টে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করা হলেও বাকিদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, মঙ্গলবার সকালে ৩২ জনকে জীবত উদ্ধার করা হয়েছে এবং চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ছয়জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর উখিয়ার ইনানি সৈকতের কাছে নৌকাডুবির ঘটনায় ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। অন্যদিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান বলেন, সোমবার রাতে মিয়ানমার থেকে নৌকা পালিয়ে আসার সময় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নৌকা পারাপার করে এমন চার শতাধিকের বেশি দালাল ও মাঝিমাল্লাকে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাবাহী ৩০টি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App