×

জাতীয়

বিএনপি-জামায়াত সুযোগ পেলে সবকিছুই শেষ করে দেবে

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৭, ০৬:২৭ পিএম

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতারা ফাঁসিতে ঝুলেছে, তারপরও জামায়াতের বিষ কমেনি। বিএনপির ঘাড়ে চড়ে তারা আগামী নির্বাচনে উতরে যেতে চায়। এজন্য এখন তারা মাঠে নেমেছে, সংগঠন গোছাচ্ছে। সময় এলে ছোবল মারবে। বিএনপি-জামায়াত আরেকবার সুযোগ পেলে দেশের সবকিছুই শেষ করে দেবে।

শুক্রবার তোপখানা রোডের ফেনী সমিতি মিলনায়তনে এগার জেলা কমিটির দিনভর প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তিকে অতীতের চাইতেও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ একবার ঘটি উল্টে দিতে পারলে সকল প্রকার প্রগতিশীলতার চিহ্ন মুছে ফেলবে।

‘ক্ষমতায় আসতে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে বিএনপি-জামায়াত প্রয়োজনে ইন্দোনেশিয়ার মতো লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করতেও দ্বিধা করবে না। এজন্য সব প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ বলেও মনে করেন মেনন।

মন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ঐক্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ওয়ার্কার্স পার্টি একুশ দফা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পার্টি কর্মীদের এ ব্যাপারে আরও গভীরভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। জনগণের মধ্যে সর্বপ্রকার উপায়ে ওই কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি’র নির্বাচন কমিশনের সংলাপের বক্তব্যই আগামী দিনে তারা কী করতে চলেছে তার ইঙ্গিত দেয়। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে কেঁদে-কেটে জনগণের সহানুভূতি আদায় করতে চাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের ভাবখানই এমন যে ‘তিনবার’ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলে তার বিচার করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এ ধরনের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্নীতিবাজ ও কর্তৃত্বপরায়ণ করে তুলতে সাহায্য করছে। এসব বিচারকাজকে দীর্ঘায়িত করার যে কৌশল তারা নিয়েছে সেটাই প্রমাণ করে যে তারা অপরাধ আড়াল করতে চায়। এই সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।

মেনন তার বক্তৃতায় অক্টোবর বিপ্লব শতবার্ষিকী ১১ নভেম্বরের সমাপনী কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। ১১ নভেম্বর বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণা পাঠ শেষে লাল পতাকা রলির মধ্য দিয়ে ওই কর্মসূচি শেষ হবে।

পার্টির মতাদর্শ ও প্রশিক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ড. সুশান্ত দাস।

বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড পাভেল ইসলাম, কমরেড শরীফ শমসির। উপস্থিত ছিলেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুরুল হাসান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App