ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে করতে বিএনপি নিজেই এখন ষড়যন্ত্রের চোরাবালিতে আটকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেন, দিক-নির্দেশনাহীন অবস্থায় দলটি ক্রমশ একটি ফ্যাসিস্টি জঙ্গি পরগাছা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করার লক্ষ্যে সভা ডাকা হয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি কখনোই জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি, ক্ষমতায় এসেছে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। এখনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায়।’

বিএনপি ষড়যন্ত্র করে দেশের উন্নয়নের গতিধারা ধ্বংস করতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। ২০১৪ সালে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে। এখনো ষড়যন্ত্র করছে। কখনো জুডিশিয়াল ক্যু এর ষড়যন্ত্র, কখনো লন্ডন ষড়যন্ত্র, কখনো আইএসআইয়ের ষড়যন্ত্র।’

‘দলটি পরস্পরের মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আদালতে বিএনপির দুইপক্ষের আইনজীবীদের হাতাহাতি তারই প্রমাণ। ষড়যন্ত্র ছাড়া বিএনপির কোনো রাজনীতি নেই। ষড়যন্ত্র সফল না হওয়ায় দলটি বিলুপ্ত প্রায়।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, এমরান হোসেন খান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, শুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।