×

আন্তর্জাতিক

হুমকি মনে করলে যেকোনো উপাসনালয় বন্ধ করতে পারবে নিরাপত্তাবাহিনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৩২ এএম

পাস হল ফ্রান্সের নতুন সন্ত্রাসবিরোধী আইন। নতুন এই আইন অনুযায়ী দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী হুমকি মনে করলে মসজিদ কিংবা অন্য যেকোনো উপাসনালয় বন্ধ করে দিতে পারবে। এ ছাড়া বিচার বিভাগের অনুমতি ছাড়াই জরুরি প্রয়োজনে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে এই বিল পাস হয়। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এর ফলে জনগণের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, নতুন আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো বিচারকের অনুমতি না নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোন তৈরি করতে পারবে। এ ছাড়া ওই এলাকায় লোকজন ও যানবাহনের চলাচল সীমিত করাসহ তল্লাশি চালাতে পারবে। গোয়েন্দা সংস্থা যদি মনে করে যে, মসজিদ কিংবা অন্যকোনো উপসনালয় থেকে ফ্রান্স কিংবা বহির্বিশ্বে সহিংসতার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে অথবা সন্ত্রাসবাদী কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে নিরাপত্তাবাহিনী সংশ্লিষ্ট মসজিদ কিংবা উপাসনালয় বন্দ করে দিতে পারবে। এ ছাড়া পুলিশ নিরাপত্তা হুমকি মনে করলে বিচার বিভাগের অনুমতি নিয়ে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি এবং জনগণের চলাচল সীমিত করার উদ্যোগ নিতে পারবে। অক্টোবরের মাঝামাঝি এটি দেশটির সিনেটে পাস হতে পারে। তবে তার আগে নতুন এই আইন নিয়ে আরো পর্যালোচনা হতে পারে। বিলটি পাস হওয়ার আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার্ড কোলোম্ব বলেছেন, এই মুহূর্তে সরকার বিদেশি জিহাদি ও দেশীয় জঙ্গিদের হুমকি মোকাবেলা করছে, ফলে দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে দেশটিতে আইএস কিংবা সংগঠনটির প্ররোচণায় সংঘটিত হামলা থেকে এ পর্যন্ত ২৪০ জন লোক নিহত হয়েছে। সর্বশেষ রোববার দেশটির মারসেল্লি রেল স্টেশনে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে দুই নারী নিহত হয়। কোলোম্ব বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা বুঝতে পারছেন যে, বর্তমান হুমকি ভয়াবহ এবং এ থেকে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আর সেটা করতে হবে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার ভারসাম্য বজায় রেখে।’ উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে আইএসের আত্মঘাতি ও বন্দুক হামলায় দেশটির প্রায় ১৩০ জন লোকের প্রাণহানি ঘটে। এরপর থেকেই জরুরি অবস্থা জারি আছে। সরকার বলছে, জরুরি অবস্থার কারণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে পারছে। সন্ত্রাসবিরোধী এই বিলের বিপক্ষে দেশটির জনগণের তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এর ফলে জনগণের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App