আশঙ্কাজনক হারে কমেছে ডিএসইর লেনদেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৭:৫০ এএম
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দৈনিক লেনদেন আশঙ্কাজনক হারে কমছে। গত পাঁচ কার্যদিবস ধরে সূচকের পতন উল্লেখযোগ্য হারে না হলেও লেনদেন অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল লেনদেন নেমে আসে ৬০০ কোটির ঘরে। ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ বা ২০৭টি কোম্পানির দরপতন হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএসইর লেনদেন এক হাজার ৫২১ কোটি টাকায় পৌঁছায়। তবে ওইদিন থেকেই বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করেন। কারণ সূচকের টানা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করায় তারা শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে আসতে থাকেন। এর আগে ব্যাংকে খাতের অতিবৃদ্ধিতে অনেকে অন্য খাত থেকে বেরিয়ে ব্যাংক খাতে বিনিয়োগ করেন। ফলে বাজারে একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করে ব্যাংক খাত। গত দুই কার্যদিবস ধরে ব্যাংক খাত থেকেও মুনাফা তুলে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে তারা পুঁজি অন্য খাতে বিনিয়োগ না করে পর্যবেক্ষণ করছেন বাজার কোনদিকে যায়। অপেক্ষা করছেন বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর।
গতকালও ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৫ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতের দখলে। এ খাতে লেনদেন হয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। তবে এ খাত থেকে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল, যার কারণে ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র সাতটির দর বেড়েছে। ২০টির কমেছে। দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে শাহ্জালাল ও যমুনা ব্যাংক। বস্ত্র খাতে ১০ শতাংশ বা প্রায় ৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হলেও এ খাতে বিক্রির প্রবণতা বেশি ছিল, যার কারণে এ খাতের ৪৮ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩০টির। সবচেয়ে ইতিবাচক ছিল সিরামিক খাত। এ খাতের পাঁচ কোম্পানির মধ্যে চারটির দর বেড়েছে। অপরিবর্তিত ছিল শাইনপুকুর সিরামিকস। এর মধ্যে মুন্নু ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। এছাড়া অন্য কোনো খাতে উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়নি।
লেনদেনের নেতৃত্বে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে আটটি ছিল ব্যাংক। এর মধ্যে শাহ্জালাল ব্যাংকের ৩৯ কোটি টাকা, উত্তরা ব্যাংক ৩২ কোটি, এনবিএল ২৯ কোটি, যমুনা ব্যাংক ২৩ কোটি, এক্সিম ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে দরবৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে একাধিক দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য ছিল।